
করোনা ভাইরাস মহামারীতে কর্মজীবী মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠণের নেতৃবৃন্দরা করোনায় অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুর জাতীয় শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে ১৩০ কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন ইকবাল হোসেন অপু এমপি।
মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা ১১ টার দিকে শরীয়তপুর সদরের মান্নান সুপার মার্কেট সংলগ্ন স্থানে শরীয়তপুর জাতীয় শ্রমিকলীগের আ: ওয়াদুদ সরদার, মো: আলমগীর হাওলাদার ও আ: মান্নান মোল্লার সহযোগিতায় কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক পাংকু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও ছাত্রলীগ নেতা আশাদুজ্জামান শাওনসহ অনেক নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ইকবাল হোসেন অপু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে এ করোনা মহামারীর সময় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, তাতে আশা করি বাংলাদেশের কোন মানুষ দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মারা যাবে না। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে বাংলাদেশ তথা শরীয়তপুরে কোন মানুষের খাদ্েযর অভাব হবে না। সারাবিশ্বের নেতৃবৃন্দ তাদের দেশ নিয়ে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হাতে বাংলাদেশকে আগলে রাখতে সক্ষম হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করেন ইকবাল হোসেন অপু।
শ্রমিকলীগ নেতা আলমগীর হাওলাদার বলেন, আজ আমরা শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশে করোনায় কর্মহীন অসহায় কিছু পরিবারের মানুষের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলাম। ঈদকে সামনে রেখে সকলে যেন ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে খেতে পারি সেজন্য ঈদখাদ্যসামগ্রীও দিয়েছি এ খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে।
শ্রমিকলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ: মান্নান মোল্লা বলেন, আমি আমার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া আমি ইকবাল হোসেন অপু ভাইয়ের সৌজন্যে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুই মাসের জন্য মৌকুপ করে দিয়েছি। আমাদের শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে ১৩০ জন হতদরিদ্রের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো আমি এজন্যই করেছি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইকবাল হোসেন অপু ভাইকে চিন্তামুক্ত দেখতে চাই।