শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী অ্যাড. পারভেজ রহমান জন ২৩২১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখার প্রার্থী তানভীর আহমেদ বেলাল পেয়ছেন ১৩৭৬ ভোট। এছাড়া বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এড. লুৎফর রহমান ঢালী পেয়েছেন ১২৭৩ ভোট ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭৯ ভোট।
শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহন শেষে রাত ৯টায় ফল ঘোষনা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জাহিদ হোসেন।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর বেপারী (উটপাখি), ২ নং ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন খান (উটপাখি), ৩ নং ওয়ার্ডে বাচ্চু বেপারী (টেবিল ল্যাম্প), ৪ নং ওয়ার্ডে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ঢালী (উটপাখি), ৫নং ওয়ার্ডে মো. আবুল কাশেম মোল্যা (পানির বোতল), ৬নং ওয়ার্ডে হোসেন মোহাম্মদ আলমগীর (পানির বোতল), ৭নং ওয়ার্ডে আমির হোসেন শিকদার (পানির বোতল), ৮ নং ওয়ার্ডে মো. ফরিদ হোসেন শেখ (টেবিল ল্যাম্প) ও ৯নং ওয়ার্ডে পলাশ কেএম পলাশ (ব্রীজ) এবং সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ফেরদৌসী আক্তার (চশমা), ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ত সৈয়দা মাহমুদা খানম (জবাফুল) ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ইমু আক্তার (জবাফুল) নির্বাচিত হয়েছেন।
মেয়র পদে মোট ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এড. পারভেজ রহমান জন, বিএনপি মনোনিত ধানের শীষের এড. লুৎফর রহমান ঢালী, জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের সাহিদ সরদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার তানভীর আহমেদ বেলাল।
এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ শান্তিপূর্ন ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়। ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন নির্বিঘ্ন ও ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা কঠোরভাবে দমন করতে মাঠে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
#