Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

ভেদরগঞ্জ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারি

ভেদরগঞ্জ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারি
ভেদরগঞ্জ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারি

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ৪৪ নং তারাবুনিয়া মাঝিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম ও ৮০ নং চর সেনসাস মাঝের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার এর সঙ্গে যৌন কেলেংকারির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত দশ টার দিকে তিন সন্তানের জনক প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম তার স্ত্রীর অনুপুস্থিতিতে ৮০ নং চর সেনসাস মাঝের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার কে পূর্বের প্রেম ঘটিত সম্পর্কের সুবাদে ঈদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে একান্ত সম্পর্কে জড়ান। বিষয়টি এলাকার লোকজন আঁচ করতে পেরে তাদের কে আটক করেন।

এ সময় খাদিজা বলেন, আমি বিধবা আজাহারুল ইসলাম আমাকে নানা ভাবে ফুসলিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে অবেধ দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমাকে ভোগ করে আসছেন। ইতো মধ্যেই সে যখন তখন আমাকে নানা ভাবে ভোগ করেছে। আমি বিয়ের কথা বললে সে আমাকে নানা ভাবে এড়িয়ে চলেন। আজকের ঘাটনাটি পূর্বের ঘটনার ধারাবাহিকতা।

বিষয়টি সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, আমরা দু’জন দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। খাদিজা বিধবা। আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দুজন সমান ভাবে দোষী। বিষয়টি আমি খাদিজার সঙ্গে বসে মিমাংসা করে নেব।

এ সম্পর্কে ৪৪ নং তারাবুনিয়া মাঝি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বলেন, আজাহার আমার পরিবারের সদস্য। ইতো মধ্যেই তার সম্পর্কে উক্ত অভিযোগ পেয়ে তাকে বদলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে আমি উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া কে নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, আমি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বিষয়টি সম্পর্কে সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার সখিপুর থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান হাওলাদার দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।