
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর শুক্রবার থেকে সারাদেশে নেয় শুরু হওয়া ‘কঠোর’ লকডাউন বাস্তবায়নে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে তবে জেলা ও উপজেলা শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও পাড়া-মহল্লার বাজারের দোকান খোলা ছিলো। এছাড়াও কিছু উৎসুক মানুষ বিনা কারণে বাইরে বের হয়। লকডাউন বাস্তবায়নে শরীয়তপুর জেলা ও উপজেলা শহরে কড়া নজরদারি আছে প্রশাসনের। মাঠে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশনা মতে লকডাউন বাস্তবায়নে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান ও পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন।
রবিবার তৃতীয় দিনে বন্ধ থাকা দোকানপাট খুলেনি। বন্ধ আছে সকল মার্কেট ও বিপণী-বিতান। কঠোরতম লকডাউন বাস্তবায়নে শরীয়তপুর জেলা শহর সহ ৬টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্টে তৎপর রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি ব্যাটেলিয়ন আনসার সদস্যরা। টহলে আছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনের পাশাপাশি কেউ যেন গোপনে দোকান-পাট খোলা রাখতে না পারে সেই বিষয়ে এবার জেলা প্রশাসন গুরুত্ব দিয়েছে। এছাড়াও অলিগলিতেও প্রশাসন টহল দিচ্ছে। যাতে করে কোনো দোকান-পাট খোলা না থাকে। জরুরি সেবা ব্যতিত কেউ বাইরে বের হতে না পারলে আমরা আশা করছি- করোনার এই মহামারী খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
শহরের বিভিন্ন মোড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরের চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিনা কারণে আসা ব্যক্তিদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো আর স্বাস্থ্য বিধি মানতে নানা পরামর্শ দেওয়া হয় চেকপোস্ট থেকে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |