Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুর নিঃস্ব সুফিয়া বেগমের জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দের উৎস হতে পারে নিজের একটি ঘর

শরীয়তপুর নিঃস্ব সুফিয়া বেগমের জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দের উৎস হতে পারে নিজের একটি ঘর
শরীয়তপুর নিঃস্ব সুফিয়া বেগমের জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দের উৎস হতে পারে নিজের একটি ঘর

শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরোসুন্দি গ্রামে মামাতো ভাইয়ের জমিতে জরাজীর্ণ একটি ঘরে বাস করেন বৃদ্ধ সুফিয়া বেগম। ভোটার আইডি কার্ডে তার বয়স ৫৩ বছর। এজন্য নিয়মানুযায়ী পাননা বয়স্ক ভাতাও। সমাজের মানুয়ের সহযোগিতায় যে ঘরটিতে থাকেন সেটিও এখন থাকার অনুপোযুক্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় ঘর। স্বামী সন্তানহীন সুফিয়া বেগমের জন্য আশ্রয় প্রকল্পের একটি ঘর হতে পারে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দের উৎস।

প্রায় ২৫ বছর আগে আসিক হোসেন নামে একজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল সুফিয়া বেগমের। কিন্তু তাদের কোন সন্তান হয়নি। বিয়ের দশ বছর পর তার স্বামী মারা গেল একাই ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি। শারিরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে ৪ বছর আগে শরীয়তপুরে তার নানী বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই এলাকার মানুষদের সহায়তায় বসবাস করতে শুরু করেন। নিজের কাছের বলতে এক মামাতো ভাই ছাড়া আর কেউ নেই।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের ভূমিসহ ঘর দিচ্ছে। তাই তিনি একটি ঘরের আশায় অনেক দৌড় ঝাপ করেন। কিন্তু মেলেনি একটি ঘর। তার জীবনের এখন শেষ আশা নিজের একটি ঘর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তিনি একটি আবেদনও করেছেন। সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার কেউ নাই। সমাজের ১০ জন মিলে কোনমতে থাকার জায়গা করে দিয়েছে। কিন্তু এখানে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। সরকার যদি আমাকে একটি ঘর দেয় তাহলে উপকার হইতো।’

রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঢালী দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ‘সুফিয়া বেগম অনেক দরিদ্র। সরকার যে ভূমিহীন গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে, তা পাওয়ার উপযুক্ত সুফিয়া বেগম।’

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ‘তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখবো। সব ঠিক থাকলে সুফিয়া বেগম এবারই ঘর পাবেন।’