
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নে প্রথম বারের মতো শোডাউন ও পথসভায় করেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ডাকে সাড়া দিয়ে চিকন্দীর শত শত মানুষ শোডাউন ও পথসভায় অংশ নেন। চিকন্দী বাজার থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরবাইক ও অটোরিকশা নিয়ে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ শোডাউন করে গ্রাম চিকন্দী ও গঙ্গানগর বাজার হয়ে দক্ষিণ কেবলনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গিয় পথসভা করে। সেখানে শত শত মানুষ শ্লোগানে শ্লোগানে এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খানকে স্বাগত জানান। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পথসভা শেষে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে শোডাউন করে দক্ষিণ কেবলনগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে পথসভা করেন এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান। সেখানেও শত শত মানুষ শ্লোগানে শ্লোগানে তাকে সাদর সম্ভাষণ জানান।
পথসভায় এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক লিটন বেপারী, চিকন্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী সরদার, মেম্বার আব্দুল খালেক মাদবর, মেম্বার হাফেজ খান, চিকন্দী আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম, এড. মাসুম আলম, অ্যাড. আতাউর রহমান, এড. নান্নু আকন, এড. আলমগীর হোসেন, চিকন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান মাদবর, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, চিকন্দি যুবলীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দীপক চন্দ্র দারিয়া, সাবেক মেম্বার সিরাজ সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার, সাবেক মেম্বার আজিজ খালাসি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন সিপাহী, চিকন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি গণি, আওয়ামী লীগ নেতা সায়েম মাদবর, মেম্বার আজিজ মাদবর, আব্দুল বারেক বেপারী, নুরুল হক মাদবর প্রমুখ।
৮নম্বর ওয়ার্ডে পথসভার নেতৃত্বে ছিলেন, শামছুল আকন এবং সভাপতিত্ব করেন আব্দুল বারেক মাদবর। ৯ নম্বর পথসভার নেতৃত্বে ছিলেন সুরুজ মাদবর এবং সভাপতিত্ব করেন আব্দুল জলিল মাদবর।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ‘বিগত দিনে আমরা যাদের চেয়ারম্যান বানিয়েছি তারা জনগনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে ব্যার্থ হয়েছে। তাদের দ্বারা ইনিয়নবাসীর কোন কল্যাণ হয়নি এবং ইউনিয়নের কোন উন্নয়ন হয়নি। তারা সরকারি বরাদ্দের টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। আমরা আর তাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাইনা। আমরা আগামীতে চিকন্দী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খান বংশের যোগ্য উত্তরসূরী তরুণ উদীয়মান নেতা, পালং-জাজিরার মাটি ও মানুষের নেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপির ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খানকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চাই। তার বিকল্প চিকন্দীতে দ্বিতীয় কেউ নেই। তাই আজ তার ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত মানুষ শোডাউন ও পথসভায় অংশ নিয়েছেন। তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খানই আগামীতে চিকন্দীর চেয়ারম্যান হবে ইনশাআল্লাহ। চিকন্দীবাসী এমনটাই আশা করছে।’
চিকন্দী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খান বংশের সুযোগ্য সন্তান ও শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর আস্থাভাজন
এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান বর্তমানে চিকন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের চার বারের নির্বাচিত সভাপতি পদে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি চিকন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য, চিকন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি ও চিকন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
পথসভায় এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান তার বক্তব্যে বলেন, প্রিয় চিকন্দীবাসী, আপনারা আমাকে চেনেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে আমাকে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাতে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সইতে হয়েছে এবং জেল খাটতে হয়েছে। আমি ভালো না খারাপ সেটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। চিকন্দীবাসীর জন্য আমি কি করেছি তারও মূল্যায়ন করবেন। আমি বুঝতে পেরেছি বিগত দিনে যারা চিকন্দীতে চেয়ারম্যান হয়েছেন, তারা চিকন্দীবাসীর আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারেনি। তারা চিকন্দীবাসীর জন্য কিছুই করেনি। তারা উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের টাকা লুটপাট করে শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন। তাই চিকন্দীবাসী আগামীতে জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপির একজন আস্থাভাজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়। চিকন্দীবাসীর দোয়া ও উৎসাহে আমি আগামীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। আশা করছি আপনারা আমার পাশে থাকবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমি কথা দিতে পারি, আপনারা যদি মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আপনাদের মূল্যবান ভোটটি বিফলে যাবেনা। আমি আপনাদের পাশে থেকে সেবা করবো এবং চিকন্দীবাসীর আশা আকাঙ্খা পূরণে কাজ করে যাবো। আমার কাছে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরবেন না। আমি আপনাদের সাথে সদয় আচরণ ও ন্যায় বিচার করবো। আমার কথা বিশ্বাস না হলে মোবাইলে রেকর্ড করে রাখুন। তখন রেকর্ড দেখিয়ে আমাকে বলবেন এডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান সাহেব, আপনি নির্বাচের আগে অনেক ওয়াদা করেছিলেন, কিন্তু আপনি আপনার ওয়াদা রক্ষা করছেননা। তাই আমরা আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনার পরিষদ ঘেরাও করবো। তখন আমি আপনাদের বিচার মাথা পেতে নিব। চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যাবো। তবে আপনাদের কাছে আমার দাবি, আপনারা যে কোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে যাবেন। আমি যদি চেয়ারম্যান নাও হতে পারি তাহলেও আমার শ্রমের টাকা দিয়ে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাবো। আমার কাছে না গিয়ে কেউ আমার বদনাম করবেন না। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।