Sunday 3rd December 2023
Sunday 3rd December 2023

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে রড দিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা অধ্যক্ষ’র পা ভেঙে দিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা

শরীয়তপুরে রড দিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা অধ্যক্ষ’র পা ভেঙে দিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা
শরীয়তপুরে রড দিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা অধ্যক্ষ’র পা ভেঙে দিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা

মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুরে এক মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বাশারকে রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসীরা । আহত অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গাজিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পারে।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে মাওলানা আবুল বাশার বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় দশজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আহত মাওলানা আবুল বাশার সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি চন্দ্রপুর মাজেদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মাদরাসা শিক্ষক সমিতি শরীয়তপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিন আগে চন্দ্রপুর সাবেক গাজিপুর সরকারি পুকুরপাড় জামে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী মৃত মান্নান ফকিরের ছেলে জুলহাস ফকিরের সাথে বাক বিতন্ডা হয় বাশারের । তখন জুলহাস ও তার ভাইরা তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে গাজিপুর গ্রামে বাশার তার বাড়ির নিকট ধান ক্ষেতে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি জুলহাস ফকির (৫০), ইদ্রিস ফকির (৪০), সেলিম ফকির (৪৫), ইলিয়াস ফকির (৩২), আমির হোসেন ফকির (৪০), সিরাজুল ইসলাম ফকির (৪০), এনামুল ফকির (৩৫), জসিম ফকির (৩৫), চাঁন মিয়া খান (৪০), অহিদ হাওলাদার (২০) অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জন মিলে বাশারকে রানদা, সেনদা, দা, রড দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারতে থাকে। মেরে বাশারকে সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। তখন সন্ত্রাসীরা তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে ফেলে। বাশার অজ্ঞান হয়ে ধান ক্ষেতে পরে যায়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বাশারকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসাপালে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত জুলহাস ফকিরগংদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি। স্থানীয় দুদু মিয়া, সাহাবুদ্দিন ফকির, মেহেদী ফকির বলেন, ওরা মাওলানা আবুল বাশারকে যেভাবে মরধর করেছে, দুর থেকে ভাবছি মরেই গেছে। দৌড়ে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় বাশারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া উচিৎ বলে জানান তারা ।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মসজিদে নামাজ নিয়ে দ্বন্দ্বে বাশারকে অভিযুক্তরা মারধর করেছে, তিনি এখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।