
১৬ বছর পরে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে ০৫ অক্টোবর মঙ্গলবার জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভাকে কেন্দ্র করে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে প্রভাব বিস্তার করে। এই সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। জেলা যুবলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবরের সঞ্চালনার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মুক্তা, সদস্য আসাদুজ্জামান আজম। এসময় জেলা ও উপজেলা যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, সংগঠন গতিশীল করতে প্রথমে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। একই ভাবে পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি গঠিত হলে সংগঠনের গতি ফিরে আসবে। পরবর্তীতে জেলা কমিটি গঠন করা হবে। তাহলে এই কমিটির নেতৃত্বে সংগঠন শক্তিশালী হবে। যত দ্রুত সম্ভব ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সকল কমিটি আগামী ২ মাসের মধ্যে গঠন করতে হবে।
দীর্ঘ পরে অনুষ্ঠিত জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জরো হতে দেখা যায় জেলা যুবলীগের পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের। সেখান থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র প্রদর্শণ করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন নেতাকর্মীরা। সভাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর বলেন, বর্ধিতসভা যেহেতু সাংগঠনিক সভা তাই জেলার নির্বাহী কমিটি, প্রতিটি উপজেলা কমিটির ৯ জন করে ও সদর পৌরসভার ৯ জন যোগ দিয়েছেন। আর ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নিয়েছেন। এর বাইরে কাউকে অনুষ্ঠানে আসতে দেয়া হয়নি। লোক মুখে শুনেছি অনেকে শোডাউন করার জন্য লোকজন জরো করেছেন। তারা বিশৃংখলা করেছেন। এর দায় জেলা যুবলীগ নেবেনা।
শরীয়তপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, পালং বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতাকর্মীরা দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে রাখতে ২১ রাউন্ড সটগ্যানের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।
উল্লেখ, ২০০৫ সালে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সেই কমিটি নেতৃত্ব প্রদান করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা আওয়ামী লীগের কমিটিতে চলে গেছেন। অনেকে দেশের বাইরে ও অনেকে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জোড়াতালি দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। সাংগঠনটি গতিশীল করতে আজ এই বর্ধিতসভা ডাক দেয়া হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |