
শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের- টানা ৩য় বারের মতো আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয় নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষাঅনুরাগী দানশীল ব্যক্তিত্ব আব্দুল হামিদ সাকিদার । চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় ২৭ অক্টেবর দুপুরে এ ঘোষণা পত্র দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা।
এছাড়া বিনোদপুর ইউনিয়নের সেবা গ্রহীতা জানান এই ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সাকিদার এর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এছাড়া সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নটির উন্নয়ন চোখে দেখার মত উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এই ইউনিয়নবাসী ও ভাতা ভোগীরা খুশি। সুদ ও ঘুষখোর মানুষদেরকে ভোট দিবে না বলে ও তারা জানান। হামিদ সাকিদার তার নিজ অর্থায়ানে আমদের জন্য কতোই না- কিছু করছে তা বলে বুঝতে পারবোনা।
বিনোনদপুর ইউনিয়ন বাসীর মতে ধান, পাট ও আলু ফসলের জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে এবং মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। উক্ত ইউনিয়নটিতে উন্নায়নের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ সফল ভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন হামিদ সাকিদার। তিনি ২০১১সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে আবারো ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিনা পতিদন্ধীতায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন। গ্রামের ছোট ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকূপ, মাটির রাস্তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা স্কুল কলেজ গ্যারেজ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, করোনা কালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ, হাত ধৌয়ার জন্য হ্যান্ড সেনেটারী এবং সচেতনা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যাহা অতিতে কোন চেয়ারম্যানদের এসব কর্মকান্ড করতে দেখা যায়নি। ধনী-দরিদ্র সব মানুষই তার কাছে সমান বলে ইউনিয়নে হাজারো মানুষ জানান।
সরেজমিনে ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে তার উন্নয়নের চিত্রগুলো। এবারের মতো তিনি টানা তত্বীয় বারের মতো চেয়ারম্যাম ও দ্বিতীয় বারের মতো বিনা পতিদন্ধীতায় চেয়ারম্যান হইলেন।
১০ বছর ধরে ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । কিন্তু কিছু লোকের প্রতি হিংসায় মামলা মোকর্দ্দমায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা কিছুই করতে পারেননি। ভাল কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বাঁধা বিঘ্ন হতে হয়েছে। বিধবা সখিনা বেওয়া, জোসনা বেওয়া, আলেফা বেওয়া, লিপি বেওয়া, জহুরা বেওয়ার মত অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের ছেলের মত রাস্তা ঘাটে ডাকলে কথা বলে। তারা ধনী মানুষ সুদ খায় না ঘুষ খায় না, মানুষকে দান করে।
উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সাকিদার বলেন এই প্রতিনিধিকে বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ২০১১ সালে ইউনিয়ন নির্বাচনে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। এর পর ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিনা পতিদন্ধীতায় চেয়ারম্যান হই এবং ২০২১ সালের আবারো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মাঝি করে এই বিনোদন পুর ইউনিয়নের জন্য পাঠান এবং উন্নায়নের জন্য আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি তত দিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। তবে আমি ইউনিয়নের জন্য সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে হামিদ সাকিদার বিনাপতিদন্ধীতায় চেয়ারম্যান হওয়া তার নিজ এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ করেছেন। এবং টানা তত্বীয় বারের মত চেয়ারম্যান হামিদ সাকিদার তিনি শরীয়তপুর ১ আসনের সাংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জান এর সাথে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এবং বিনোদপুর ইউনিয়ন এর উন্নয়ন ধারা অব্যাহত পত্যায় ব্যক্তকরেন।