সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে নিরাপদ মাংস সংকট, নেই তদারকি

শরীয়তপুরে নিরাপদ মাংস সংকট, নেই তদারকি

শরীয়তপুরে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, মার্কেটিং কর্মকর্তা ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। এতোকিছুর পরেও ভোক্তার জন্য নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করতে পারছে না কেউ। শুনছেনা কেউ ভোক্তার চাপা ক্ষোভ। জেলা প্রশাসন নিরাপদ মাংস বিক্রির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন।

শরীয়তপুর পৌরসভার বিভিন্ন বাজার ও অলি-গলি ঘুরে দেখা গেছে, পালং বাজার ও আংগারিয়া বাজার এই পৌরসভার প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র। সেখানে প্রতিদিন ডজন খানেক গরুও অর্ধশত ছাগলের মাংস বিক্রি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ছোট ছোট বাজার ও অলিগলিতে বিক্রি হয় গরু ছাগলের মাংস। যত্রতত্র এই পশু জবাহ করা করা। পশুর রক্ত ও বর্জে পরিবেশ নষ্ট হয়। জবাহ করা পশু মাংস খাদ্য হিসেবে কতটুকু নিরাপদ তাও জানেনা ভোক্তা। অথচ জাতীয় ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য, মার্কেটিং কর্মকর্তা ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিষয়টি মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারনে ভোক্তাকে খেতে হচ্ছে অসুস্থ ও মরা পশুর মাংস। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাহ করে খাবার উপযোগী মাংস বিক্রি করলে এই সমস্যার সমাধান মিলবে বলে দাবী করেছেন গ্রাহক।

পালং বাজারের মাংস বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পশুটি তারা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্মকর্তা পশুটির মাংস বিক্রির অনুমতি দিলে জবাহ করে। এছাড়া কোন কর্মকর্তা বাজারে আসে না। নিরাপদ মাংসের গায়েও কোন সীল দেওয়া হয় না।
মাংসের ক্রেতারা জানায়, মাঝে মধ্যে পত্রিকায় দেখি শরীয়তপুরের বাজারে মরা পশুর মাংস বিক্রি হয়। মাংসের বাজারে তদারকি থাকা প্রয়োজন। নয়তো আমাদের অসুস্থ ও মরা পশুর মাংস খেতেই হবে।

পালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটরী আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, পালং বাজারে এই ধরনের কোন নিয়ম চালু নই। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উদ্যোগ নিলে হয়তো বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার দাস বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রনে তাদের কোন দায়িত্ব নেই। কোন মাংস বিক্রেতা জিবন্ত পশু নিয়ে তাদের কাছে যায়ও না। গেলে হয়তো পরামর্শ দিবেন তারা।

জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, শরীয়তপুরে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য, মার্কেটিং কর্মকর্তা ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। যারা বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে তারা যেন পশুর মাংস পরীক্ষা করে নীল রংগের সীল যুক্ত করে দিবেন। সেই বিষয়ে তাদের সাথ কথা বলব।


error: Content is protected !!