
রবিবার(১৪ মে) শরীয়তপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নতুন জেলা কমান্ড্যান্ট হিসেবে যোগদান করলেন মো: মইনুল ইসলাম, পিএএম। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নতুন এই জেলা কমান্ড্যান্ট কর্মকর্তার যোগদান উপলক্ষ্যে জেলা কমান্ড্যান্টের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। তিনি ৩০ তম বিসিএস-এর একজন কর্মকর্তা।
নতুন এ কর্মকর্তা ১৯৮৩ সালের ৩০ জানুয়ারী চাদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চাকুরী জীবনে তিনি হবিগঞ্জের সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট, খাগড়াছড়িতে ২৯ আনসার ব্যাটালিয়ন ও ২ আনসার ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়ক (চলতি দায়িত্ব), র্যাব-১৪ এবং র্যাব-১ এর ডেপুটেশনে অপস্ অফিসার, অ্যাডজুট্যান্ট এবং কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঢাকা খিলগাঁও সদর দপ্তর-এর উপ-পরিচালক (ওয়েলফেয়ার) ছিলেন। স্টাফ অফিসার টু চেয়ারম্যান অব আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, টাঙ্গাইলের জেলা কমান্ড্যান্ট, ঢাকা মহানগর আনসার(ডিএমএ) ডিএমপি-এর জোন অধিনায়ক এবং লালমনিরহাটের ২৮ আনসার ব্যাটালিয়ন-এর অধিনায়ক ও জেলা কমান্ড্যান্ট, লালমনিরহাট (অতিরিক্ত) হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অতি সম্প্রতি জেডিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপান থেকে দুই বছর মেয়াদী অর্থনীতির উপর একটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করে ২৯-তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার ও ৩০ তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডারে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। এছাড়া অত্র বাহিনীতে যোগদান করে ১৫ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস)-এর উপর আরেকটি উচ্চতর মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১৫ সালে খাগড়াছড়িতে অস্ত্র ও বিপুল সংখ্যক অবৈধ সেগুন গাছ উদ্ধার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে প্রেসিডেন্ট আনসার পদক (সাহসিকতা) লাভ করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও তার স্ত্রীও একজন বিসিএস কর্মকর্তা। বাংলাদেশ আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীতে তিনি একজন সৎ, চৌকস ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার নিয়ে বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ‘একটি গ্রাম ও একটি শহর’ নির্মাণে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।