
শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের কর্ম ব্যস্ততাপূর্ণ অফিস এলাকা যেন এক সবুজের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ডাটা, গিমাকলমি, ঢেঁড়স, পুইশাক, লাল শাকসহ নানা জাতের সবজি সেই সাথে মাচায় ঝুলছে চিচিঙ্গা, ধন্দুল, মিষ্টি কুমড়ো ও করলাসহ অন্যান্য সবজি গাছগুলো। যা দেখে যেকোন মানুষের চোখ আটকে যাচ্ছে, মন ভরা প্রশান্তি নিয়ে দেখছেন সবাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না” তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক পতিত জমি ব্যবহারের লক্ষ্যে এবং উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আগত দর্শনার্থীদের উদ্ভুদ্ধ করে তোলার অভিপ্রায়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান উদ্যোগক্তারা।
এমনই দৃশ্যের দেখা মিলছে বর্তমানে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের “ইফনাপ” প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত “অনাবাদি পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান” স্থাপনের প্লট গুলোতে।
বাগান পরিচর্চায় রত উপজেলা কৃষি অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পূজা রুদ্রবার্তা কে বলেন “অফিসের ডিউটির পূর্বে এবং পরে এই পুষ্টি বাগানের পরিচর্যা করি। এখানে সময় দিতে আমার খুবই ভালো লাগে”। গাছের যত্ন নিলে মনটাও ভালো থাকে বলেন জানান তিনি।
সমন্বিত পুষ্টি বাগান স্থাপনের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অলি হালদার রুদ্রবার্তা কে বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আমরা বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে এই ধরনের পুষ্টি বাগান স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি যাতে পতিত জমিগুলো চাষের আওতায় আসে”।
সদর উপজেলায় পতিত জমি ব্যবহার নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র রুদ্রবার্তা কে বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় পতিত, জলাবদ্ধতাপূর্ণ এবং রাস্তার পাশে থাকা পতিত জমি চাষের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার জন্যে কৃষি বিভাগকে সাথে নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই শরীয়তপুর সদরে এরূপ চাষাবাদ শুরু করেছি এবং আশ্রায়ন প্রকল্প, স্কুল-কলেজ ও প্রাতিষ্ঠানিক পতিত জমি চাষের জন্যে উদ্বুদ্ধকররণের পাশাপাশি বিনামূল্যে বীজ ও ফলের চারা বিতরণ করে যাচ্ছি ফলে দেশের সার্বিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছি “।