বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শরীয়তপুর জেলার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়েছে।

ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল,এই শব্দগুলি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এসে আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার সংস্কৃতির সাথে এ শব্দগুলি একেবারেই বেমানান। কালের পরিক্রমায় যান্ত্রিক সভ্যতার কারণে বাংলার সংস্কৃতি থেকে অনেক আনন্দময় খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে। ৮০-৯০ দশকের দিকে বাঙালির গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো ছিল ফুটবল, কাবাডি,হাডুডু,ফুলটোক্কা, সাত চারা, কানামাছি, বউ আছি, দাইরা বান্দা, নৌকা বাইচ ইত্যাদি। বর্তমান সভ্যতার বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে ইন্টারনেট মোবাইলের কারণে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অভিধান থেকে অনেক পুরনো খেলাধুলা একেবারেই হারিয়ে গেছে। এক কালে এক সময়ে এ দেশের সংস্কৃতি ছিল পিতা মাতা অভিভাবকগণ ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের ছোট ছেলেমেয়েদেরকে ভোর হলেই মসজিদ-মন্দির গির্জা প্যাগোডায় পাঠিয়ে দিত। ধর্মীয় কাজ শেষ করে শিশু কিশোর যুবক ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনের বিদ্যাপীঠ শেষ করে নেশায় থাকত কখন বিকেল হবে কখন খেলার মাঠে যাবে খেলা করার জন্য। এ সময়ের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মাঝে সেই সংস্কৃতি আর নেই। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মোবাইল নামক যন্ত্রটি আধুনিক যুগের মানব জাতিকে বানিয়ে ফেলেছে স্থির অলস। তথ্য মতে বাংলাদেশের ৯০% মানুষ ইন্টারনেট মোবাইলে আসক্ত। এ যুগের শিশু কিশোর যুবক-যুবতী বৃদ্ধ বয়স্ক সকল শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষগুলি পরিশ্রম বিহীন কর্ম, বিবাহ -বিচ্ছেদ -খেলাধুলা -প্রেম -প্রীতি- চিঠিপত্র -জুয়া ক্যাসিনো -আয় -ব্যয় হাট -বাজার- পড়ালেখা সকল কিছুই ইন্টারনেট মোবাইলের মাধ্যমে। খেলাধুলা না করার কারণে খেলার মাঠগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ যুগের ছেলে-মেয়েদেরকে বাঙালির পুরনো ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলায় ফিরিয়ে আনার জন্য জেলায় জেলায় খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছেন। এযুগের ছেলেমেয়েদেরকে খেলাধুলায় ফিরিয়ে আনার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশক্রমে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন অপু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শরীয়তপুর জেলার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ আব্দুল হাদী শাহপরান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ। উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, মেধাকে ধরে রাখার জন্য শরীর মন ভালো রাখার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। স্টেডিয়ামে উপস্থিত খেলোয়াড় ছেলেমেয়েদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন মোবাইলে খেলায় আসক্ত না হয়ে মাঠের সশরীরে খেলায় আসক্ত হতে হবে তাহলে আমরা মাদক জুয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারবো এবং সুস্থ থাকতে পারবো।


error: Content is protected !!