
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৫ সালে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার শোলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর এলাকায় সালাম সরদার মৃত্যুশয্যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সালাম সরদার কে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র লাঠি সোটা দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় ওই একই এলাকার কসাই লতিফ মাদবর, জলিল মাদবর, রেজ্যেক মাতবর, রাজ্জাক মাতবর সহ নাম না জানা অজ্ঞাত আরো অনেকেই।
পিতা আব্দুল জব্বার সরদার স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুত্র সালাম সরদার কে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে ২০১৫ সালের গয়ঘরের মারামারি ঘটনায় আহত সালাম সরদার দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরেও সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে এমনকি মৃত্যুর কোলে ধীরে ধীরে ধাবিত হচ্ছে। ছেলেকে হত্যার দায় লতিফ মাদবর, জলিল মাদবর, রেজ্জেক মাতবর ও রাজ্জাক মাদবরসহ ১৯ জনকে আসামি করে মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আট বছর পর সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন ও চার্জশিঠ অনুযায়ী চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীয়তপুর, মোহাম্মদ সালেহুজজামান জলিল মাদবর কে তিন বছর, লতিফ মাতবর কে এক বছর, রেজ্জেক মাদবর কে দুই বছর এবং রাজ্জাক মাদবর কে দুই বছর কারাদণ্ড সাজা প্রদান করেন। পঙ্গুত্ববরণকারী সালাম সরদারের পিতা আব্দুল জব্বার সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, এই সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ২০১৫ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার ছেলেকে হত্যা করার জন্য দেশীয় ধারালো রামদা সেনদা লাঠি সোটা অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্ত জখম করে হাত-পা ভেঙে দেয়। তাদের কারণে আমার ছেলে আজ সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে এমনকি ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ধাবিত হচ্ছে। জমি জমা বিক্রি করে আমার ছেলে চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেছি।
আদালতের রায় দীর্ঘ আট বছর পর হলেও আমার ছেলের প্রকৃত বিচার পেলাম না। অপরাধীদের সঠিক বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব