
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের পক্ষে গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মোহাইমিনুল ইসলাম গোসাইরহাট সার্কেলের আওতাধীন বিকাশ, ইউক্যাশ, ফ্লাক্সিলোড, রকেট, সিউরক্যাশ, মোবিক্যাশ, মারসেন্ট বিকাশ (এমইআর) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান সমূহের এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটরসসহ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারদের সাথে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ডামুড্যা থানা গোল-ঘর প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এছাড়া ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, পৌরসভা কমিশনারবৃন্দ, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে সভা অলংকৃত করেন।
উক্ত সভায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহে সম্ভাব্য প্রতারণামূলক কর্মকান্ড সমূহ ও তার প্রতিকার সমূহ আলোচনা করা হয়। এ সময় “ব্যাংক নিরাপত্তায় গৃহিতব্য পদক্ষেপ” সংক্রান্তে ঢাকা রেঞ্জের মাননীয় ডি আই জি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) মহোদয় কর্তৃক নির্দেশিত ও সার্কেল অফিসার স্বাক্ষরিত একটি করে পরামর্শমূলক চিঠি ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগন নিরাপত্তা হুমকি ও অন্যান্য বিদ্যমান সমস্যার ওপর আলোকপাত করেন। এসবের মধ্যে বাজারে কার্যকর বণিক সমিতি না থাকা, পুলিশ টহলের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন ব্যাংক শাখা এলাকায়ও সার্বক্ষণিক বিস্তৃতকরণ , অতিরিক্ত ও বেসরকারি বাজার সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ, পুলিশ অফিসার কর্তৃক নিয়মিত অস্ত্র পরীক্ষণ চলমান রাখা- ইত্যাদি প্রণিধানযোগ্য। উক্ত দিক নির্দেশনামূলক সভায় ব্যাংক টু ব্যাংক রেমিট্যান্স, ব্যাংক গার্ডদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র পরীক্ষণ, ব্যাংক সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে পুলিশের টহল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের সাথে সমন্বয়করণ, ব্যাংক শাখা সমুহে সন্দেহভাজন ব্যাক্তিবর্গের গমনাগমন নিয়ন্ত্রণ, বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ বিষয়ে প্রতারণা, বিকাশ ও রকেটে মুক্তিপণ দাবী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দের হুমকি-উত্তর পুলিশের সাথে যোগাযোগ ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতায় অধিকতর জোরালো ও অংশীদারি-মূলক পদক্ষেপের আশ্বাস প্রদান করেন।
এ ধরনের উদ্যোগের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাগন রেঞ্জ ডি আই জি, পুলিশ সুপার, শরীয়তপুর মহোদয় ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এর ভূয়সী প্রশংসা করেন ও ভবিশ্যতে অনুরূপ সহায়তা প্রত্যাশা করেন।