
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় হত্যা করা হয় স্কুল ছাত্রী কাজল আক্তারকে। এ ঘটনায় ডামুড্যা পৌরসভার সর্বস্তরের জনগণ ও কুলকুড়ি সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন ব্যানারে কাজল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কাজল আক্তারের মা ভুলু বেগম, বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল, বোন সুখি আক্তার, লাবনি আক্তার, ভাই আব্দুল্লাহ্ ছৈয়াল, ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুল আলম সবুজ মাদবর, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ ছৈয়াল, ব্যবসায়ী কবির হোসেন ছৈয়াল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কাজল আক্তারের বোন সুখি আক্তার বলেন, আমার বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বাবু, জুয়েল, ফারুক ও তানভীর। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
ডামুড্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুল আলম সবুজ ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ ছৈয়ালসহ অনেকেই বলেন, কাজল অনেক ভালো মেয়ে ছিল। মেয়েটিকে যারা হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
উল্লেখ্য, ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুলকুড়ি গ্রামের আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে ও ডামুড্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কাজল গত ২১ অক্টোবর রাতে প্রতিদিনের মতো পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাওয়ার জন্য বের হয়। পরে আর ঘরে ফেরেনি। পরের দিন ২২ অক্টোবর সকালে ওই গ্রামের একটি ডোবা থেকে হাত-পা ও মুখবাঁধা অবস্থায় কাজলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন ডামুড্যা থানায় চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন কাজলের বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল। পরে ২৬ অক্টোবর পূর্বডামুড্যা এলাকা থেকে আসামী বাবু চৌকিদার (২৫), মো. জুয়েল খান (১৯) এবং ২৭ অক্টোবর মো. ফারুক সরদার (২৪) ও তানভীর শামীমকে (২২) গ্রেফতার করে ডামুড্যা থানা পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
ডামুড্যা থানার ওসি (তদন্ত) মো. এমারত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ওই ঘটনায় চারজনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।