Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানকারী ডামুড্যার হালিমা খাতুন বরখাস্ত

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানকারী ডামুড্যার হালিমা খাতুন বরখাস্ত
জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানকারী ডামুড্যার হালিমা খাতুন বরখাস্ত

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক বেগম হালিমা খাতুনকে অবশেষে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র ও চাকরি প্রত্যাশী ভাই-বোনের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।

তিনি বলেন, ‘বেগম হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ উপবিধি ৩(ঘ) বিধানমতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (গুরুদণ্ড) করা হয়েছে।’

গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুলকে রাজস্ব প্রশাসনে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা নেন হালিমা খাতুন। এজন্য তিনি তৎকালীন জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন নুপুর। এ ছাড়া গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে একই গ্রামের রুমা আক্তার হ্যাপির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা এবং ব্যাপারী নামের আরেকজনের কাছ থেকে তিন লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, হালিমা খাতুন পূর্ববর্তী কর্মস্থল গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে দায়িত্ব পালনকালে চাকরি দেয়ার কথা বলে চাকরী প্রত্যাশী ভাই-বোনের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

এরপর শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। নিয়োগপত্রে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর দেয়া হয়। তারা ২০২০ সালের ১ এপ্রিল অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র ভুয়া। ভুক্তভোগী নুপুর গত বছরের ৭ জুন হালিমা খাতুন ও তার বাবা মো. আলী আহম্মদ আকনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।