Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফাকে নতুন ঘর দিলেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফাকে নতুন ঘর দিলেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান
প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া ঘর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতির কাছে হস্তান্তর করছেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান । ছবি- দৈনিক রুদ্রবার্তা

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতি থাকতেন জরাজীর্ণ ঘরে। বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে তার ঘরে পড়ত পানি। আবেদন করেও পাননি সরকারি ঘর এভাবেই মানবেতর জীবনযাপন করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতি।

গত ৬ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার উত্তর ডামুড্যা গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতিকে নিয়ে ‘অন্যের বাড়িতে থাকেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, আবেদন করেও পাননি সরকারি ঘর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে আসামাত্র প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোঃ মাহবুব হোসেন ও পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ ওসমান গনি তাৎক্ষণিকভাবে শরীয়তপুর জেলাপ্রশাসক মো. পারভেজ হাসান-কে বিষয়টি অবহিত করেন।

জেলাপ্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, ডামুড্যা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ডামুড্যা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতি নিজের এক টুকরো জমিতে নিজের ছোট্ট একটা ঘরের স্বপ্ন শোনান। তারই ফলশ্রুতিতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সম্মিলিত আর্থিক অংশগ্রহণে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন(বাসা) এর সহযোগিতায় ও ডামুড্যা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজের গত একমাসের নিরলস প্রচেষ্টায় নির্মিত হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতির স্বপ্নের ঘর, পূর্ণ হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের একটি মডেল৷

জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান নিজে উপস্থিত থেকে বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া ঘর নিজ হাতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতির কাছে হস্তান্তর করেন। জেলা প্রশাসক দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, মুজিববর্ষে কোনো পরিবার গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এমন দিকনির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় নতুন ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতি। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সারাজীবন কষ্টই করে গেলাম। সুখ কী জিনিস আমি জীবনে সেটি বুঝিনি। এখন পাকা ঘরে থাকব, জীবন কাটাব, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। আমাদের মতো গরিবের শেষ আশ্রয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজার বছর বেঁচে থাকুন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি, ডামুড্যা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ, সহকারী কমিশনার ভূমি সবিতা সরকার, ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল, দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন খান, ডামুড্যা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহেল, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সবুজ করাতিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ।