সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং, ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং
গোসাইরহাটে বিবাদির অভিযোগ

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় বিবাদির অভিযোগ তাদের মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে নাগেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সরদার। এ বিষয়ে নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ঢাকেরহাটি গ্রামে গত ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নাগেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী ইলিয়াস কাঞ্চন টিটু (৩৯) তার ঘরের খাটের সঙ্গে পা ঝুলন্ত অবস্থায় ও শরীরের অংশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তার স্ত্রী। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর গোসাইরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

পরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গোসাইরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামের মৃত মান্নান খানের ছেলে মোজাম্মেল খান, জাহিদ খান, ঢাকেরহাট গ্রামের মোতালেব বেপারী, শহিদুল সরদার, রফিক সরদারসহ ১৩ জনকে ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতে মামলার আসামী জাহিদুল ইসলাম খানকে (২৫) গ্রেফতার করে গোসাইরহাট থানা পুলিশ।

বিবাদি মোজাম্মেল খান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সরদার আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন। তার বাড়ি ও আমার বাড়ি একই ইউনিয়নে। তার ছেলে টিটু স্ট্রোক করে মারা গেছে। পূর্ব পরিকল্পনা করে সেই ঘটনাকে হত্যা মামলায় পরিণত করেছে। আমাকে ও আমার লোকজনদের মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর একটি সঠিক সমাধান চাই এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

আতাউর রহমান খান দুলাল, ইয়াকুব আলী, মহসিন খান, হেমায়েদ বেপারীসহ স্থানীয় অনেকেই বলেন, আমরা যতটুকু জানি বা শুনেছি সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে টিটু স্ট্রোক করে মারা গেছে। কিন্তু এখন শুনি টিটুর মৃত্যুর ১৬ দিন পর তার বাবা গোসাইরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মোজাম্মেল খান ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। এটা পূর্ব শত্রুতা ছাড়া কিছুই নয়।

এদিকে, মামলার বাদি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সরদার মুঠোফোনে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ মোজাম্মেল খান ও তার লোকজনরা। তারা আমাদের বাড়িতে আনাগোনা করতো। তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি হত্যা মামলা করেছি।

মামলাটির তদন্তকারী অফিসার গোসাইরহাট থানা পুলিশের এসআই এনামুল হক মুঠোফোনে বলেন, টিটুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরে টিটুর বাবা আব্দুল জলিল সরদার বাদি হয়ে গোসাইরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার আসামী জাহিদুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টিটুর ময়নাতদন্তর রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি পুলিশ। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে টিটুর মৃত্যুর রহস্য কি?


error: Content is protected !!