মঙ্গলবার, ৬ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার, ৬ই জুন, ২০২৩ ইং

গোসাইরহাটে ৪ টি অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার থেকে ৫ ব্যক্তিকে আটক

গোসাইরহাটে ৪ টি অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার থেকে ৫ ব্যক্তিকে আটক

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪টি অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার থেকে ৫ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বুধবার ১১ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এ দন্ড প্রদান করেন।

আটককৃতরা হলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকার মৃত: আব্দুল জব্বার জমাদ্দারের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম(২৯), গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি এলাকার সুলতান খাঁর ছেলে মোঃ মোরশেদ(২৬), কুড়িগ্রামের উলিপুর এলাকার মৃত খমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ হাসু মিয়া(৪০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকার জয়নাল খন্দকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৩) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকার আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে মোঃ মামুন(৩৫)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাটের আলাওলপুর ইউনিয়নের চর জালালপুর মৌজার আওতাভূক্ত মেঘনা নদী থেকে কিছু কুচক্রী প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৪টি অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার থেকে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে যথাক্রমে ২০ দিন, ১৫ দিন, ১০ দিন, ০৭ দিন ও ০৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বালুমহাল ঘোষণা ব্যতীত নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দণ্ডনীয় অপরাধ। কিছু কুচক্রী প্রভাবশালী মহল এখানে বালু উত্তোলন করছে। আমরা বার বার অভিযান করেও এই দুর্বৃত্তদের দমন করতে পারছি না। গতকাল দুপুরে সংবাদ পেয়ে আমি অভিযান চালিয়ে চর জালালপুর মেঘনা নদীতে চলমান ৪টি ড্রেজার থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে সাজা প্রদান করি।

তিনি আরো বলেন, বালু উত্তোলন যেন না হয় এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


error: Content is protected !!