
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার দাসের জঙ্গল মৌজার রাস্তার ১৯ শতাংশ ও কোদালপুর ইউনিয়নের বাজারের দোকানের ৩ শতাংশ প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জমি উদ্ধার করেছে গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। বৃগস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে সরকারী খাস জমি উদ্ধার করেন।
সরকারী খাস জমি উদ্ধার করায় তার অবদানের কথা স্বীকার করেন এলাকার সুশীল সমাজ। বিশেষ কৌশল ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে উচ্ছেদ অভিযান করে সরকারের এ মূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধার করেন তিনি।
জানা গেছে, অনেক বছর ধরেই এ খাস জমি এলাকার প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুরা অবৈধ ভাবে নিজেদের দখলে রেখেছিল।অনেক বার ভূমি অফিসের মাধ্যমে এ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের মালিকানার কাগজপত্র অসংখ্যবার চাওয়া হলেও দখলদাররা নানান টালবাহানা করে সময় নষ্ট করেন। ফলে গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এ সরকারী খাস সম্পদ উদ্ধারে অতি দক্ষতার সাথে উদ্যোগ নিয়ে সফল হোন।
গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছিলো। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় আজ বেলা ১১ টার দিকে বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এতে ২২ শতাংশ খাসজমি উদ্ধার করা হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। গোসাইরহাট উপজেলার প্রতি ইঞ্চি খাস জমি উদ্ধার করা হবে ইনশাআল্লাহ। সরকারী সম্পত্তি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভোগ দখল করতে পারবে না। অবৈধ দখলদারদের কোন ছাড় নেই।
উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন থানা পুলিশ একটি টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীগণ। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।