
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার মধ্যে অন্যতম লঞ্চঘাট হলো কোদালপুর লঞ্চঘাট, গোসাইরহাট উপজেলার মধ্যে নদী পথে ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করে যে স্থান, তা হলো কোদালপুর লঞ্চঘাট। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করলেও স্থায়ী টার্মিনাল না থাকায় এ ঘাটে যাত্রীদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়।
এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা টু কোদালপুর, কোদালপুর টু ঢাকা এবং কোদালপুর টু চাঁদপুরের দিন রাত মিলে ৮-১০ টি লঞ্চের যাত্রী সহ মেঘনার বিভিন্ন চর এলাকা যেমন হাইমচর, মাজেরচর, সাতপাড়া, মাঝিবাজার, সাহেবগঞ্জ, চর ভৈরবি এবং গোসাইরহাটের প্রায় ২৫০০-৩০০০ যাত্রী লঞ্চ, ট্রলার ও অন্যান্য নৌযানে চলাচল করে। কিন্তু এত লোকের যাতায়াত হলেও এখানে নেই কোন স্থায়ী টার্মিনাল। ফলে সারা বছর জুড়ে এসব যাত্রীরা নানান দুর্ভোগের শিকার হন। শুকনো মৌসুমে কষ্ট একটু কম হলেও বর্ষা মৌসুমে কতটা সমস্যা হয় তা শুধু এ ঘাট দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরাই জানেন। কিন্তু ঘাটের ইজারাদারদের যাত্রীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। ঘাটের প্রবেশমূল্য ০৫ টাকা সহ বর্তমানে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের জন্য নেওয়া হয় ১০ টাকা। কিন্তু টাকা যাই নেয়া হোকনা কেন সেটার চেয়ে যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সময়ই এখানে ছোট খাট দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
কোদালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি একটি স্তায়ী কাঠের পুল করে দেওয়ার কথা বললেও এখনও তা হয়নি। এ ব্যাপারে উপর মহলের হস্তক্ষেপ চায় কোদালপুর বাসী। ফলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। আর যাএীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে খুবই কষ্ট করে ট্রলার পার হয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। যাত্রীদের এ দুর্ভোগ লাঘবে ঘাটটিতে যে স্থানে ট্রলারে পারাপার করা হয় সেখানে অতি শীঘ্রই একটা পুল নির্মাণ সহ স্থায়ী টার্মিনালের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |