
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ পরিদর্শনে গিয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচির অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম ‘আস্থা ও স্বস্তির বুথ’ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২ টায় দিকে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পে তিনি এ বুথ উদ্বোধন করেন। কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচির অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
এসয় গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মে. শাজাহান শিকদার, ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকারী,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গোসাইরহাট উপজেলার মহিষকান্দিতে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পে ভূমি ও গৃহহীন ২২ টি পরিবারের জন্য ২২টি পাকা ঘর নির্মাণ করে সরকার। ইতিপূর্বে এই ২২টি ঘর ভূমিহীন অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটেশন সহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ভূমিহীন পরিবারগুলো ভূমিসহ ঘর পেয়ে তারা খুশি।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা, ভালোমন্দ স্বচক্ষে দেখতে পরিদর্শনে যান। তিনি ঘুরে ঘুরে প্রতিটি পরিবারের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নেন। এসয় বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের সামনে সরকারের দেয়া পাকা ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। এখানে তাদের থাকতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না বলেও তারা জানান। সরকারের দেয়া ঘর পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
বিল্লাল হোসেন নামে প্রকল্পের এক বাসিন্দা দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, আমাদের কোন আশ্রয়ের ঠিকানা ছিলনা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভূমিসহ পাকা ঘর দিয়েছেন। আমরা আশ্রয়ের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি। এজন্য আমরা খুশি। আমাদের এখানে থাকতে কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান আশ্রয়ন প্রকল্পে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচির অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ‘আস্থা ও স্বস্তির বুথ’ উদ্বোধ করেন। উদ্বোধণ শেষে আশ্রয়ন প্রকল্পে বৃক্ষ রোপণ করেন জেলা প্রশাসক।
এসময় জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, মূলত আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীরা কেমন আছেন এটা নিজ চোখে দেখা ও জানায় জন্যই পরিদর্শনে আসা। অতি বৃষ্টি ও খালের পাশে হওয়ায় কয়েকটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছিল। আমরা সেটা জানতে পেরে দ্রুত রড দিয়ে আরসিসি করে মেরামত করে দিয়েছি। এছাড়া ভাঙ্গন রোধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্লাসেডিং করে ছয়শ বালুভর্তি জিও ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করতে কোন অসুবিধা নেই। এখানে বিদ্যুৎ, ডিপটিউবয়েল, স্যানিটেশনসহ সকল নাগরিক সুবিধা রয়েছে। এই আশ্রয়ন প্রকল্পি পৌর বাজারে খুব কাছে হওয়ায় এখানকার বাসিন্দারা বাড়তি সুবিধা পাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করবো ভাইরাস মহামারী চলছে। এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচির অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ‘আস্থা ও স্বস্তির বুথ’ উদ্বোধ করেছি। প্রকল্পের বাসিন্দা সহ আশপাশের মানুষের জন্য করোনার টিকা নিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। শীঘ্রই আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচির অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন করা হবে।