
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের পূর্ব কোদালপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ঠান্ডার বাজার মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধু চক্র আইন অমান্য করে ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলনের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যা এখনো থামানো যাচ্ছে না।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অসাধু চক্রটি প্রভাব খাটিয়ে আইনের কোন তোয়াক্কা না করে নদীতে বালুমহল বানিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকার বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের ডবল পয়েন্ট নামে একটি ড্রেজার জব্দ করে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবুও যেন থামছে না এ বালু উত্তোলন।
যাদের হস্তক্ষেপে বালু উত্তোলন যজ্ঞ চলছে তারা হলেন, সুজন দেওয়ান, সুমন দেওয়ান, কাউসার দেওয়ান, রোমান দেওয়ান এবং দুলাল বেপারী।
নৌ-পুলিশের আইসি সিরাজুল করিম সরাসরি সাক্ষাতকারে বলেন, ইতোপূর্বে ড্রেজার জব্দ করে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আবারও যদি তদন্ত করে পাই তারা বালু উত্তোলন করছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরোতর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে আলাপকালে সুজন দেওয়ান বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ এবং প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি । আমরা বিভিন্ন বোটে ও বিভিন্ন ট্রলারে বালু বিক্রি করি। ৩ থেকে ৪ টি ড্রেজার দিয়ে কাজ করি।
স্থানীয়রা বলেন, তারা খুব প্রভাবশালী। এ চক্রের বিরুদ্ধে কথা বললে আমরা এলাকায় থাকতে পারবোনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা প্রশাসনের একটি মহল ম্যানেজ করে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন আজকের শরীয়তপুরকে বলেন, আমি আজ বিকেল বেলায় গিয়েছিলাম তাদের কাউকে স্পটে পাইনি হয়তবা তারা রাতের বেলায় তাদের কার্যক্রম চালায়। রাতে অভিযান চালানো একটু কঠিন ব্যাপার হয়ে পরে। আপনারা আপনাদের মত নিউজ করেন সমস্যা নেই। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |