
শুক্রবার ১৬ জুন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইউএনও কাফী বিন কবির দাপ্তরিক কাজে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে ষাটোর্ধ জাহানারা বেগমকে দেখে তার ঘর নতুনভাবে তৈরি করে দেয়ার কথা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ২০ জুন সেই বৃদ্ধার হাতে নতুন দুই বান (১৬ পিস) টিন ও টিন লাগানোর মজুরি বাবদ নগদ ৬০০০ টাকা তুলে দেন ইউএনও কাফী বিন কবির। কথা দেয়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে ঘর ঠিক করতে পারলো অসহায় জাহানারা বেগম (৬২)।
জাহানারা বেগম দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, ঘর ঠিক করতে পারবো সেটা স্যারের কথা শুনে বুঝে ছিলাম কিন্তু এতো তারাতাড়ি টিন ও টাকা পাবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ইউএনও স্যার নিজে আমার বাড়িতে এসে এগুলো দিয়ে গেলো এবং ঈদের আগে ঈদ সামগ্রী দেয়ার জন্য ভোটার আইডি নিলো। ইউএনও স্যার মানুষ নয়, ফেরেস্তা।
উপজেলা পিআইও আমিনুল ইসলাম দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ইউএনও স্যার তাগিদ দিয়ে জাহানারা বেগমসহ ১৮ জনের ঘর মেরামতের টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ করেছেন। এলাকা ঘুরে ঘুরে তিনি উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা দেয়ার মাধ্যমে ইউএনও স্যার সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশাসনের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, সামনে ঝড় বৃষ্টি বাড়তে পারে, বৃদ্ধার পক্ষে এই জরাজীর্ণ ঘরে থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে ফোনে কথা বলে দ্রুত বরাদ্দ এনেছি। জেলা প্রশাসক স্যারের অনুপ্রেরণা ছাড়া এটা সম্ভব হতোনা। এই সকল কাজে আমার আদর্শ হলো শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান স্যার। এই সময় আরো ৮ টি পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ তুলে দেন গোসাইরহাটের ইউএনও কাফী বিন কবির।
#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |