
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় একটি সেতু নির্মাণের তিন বছরেও সংযোগ সড়ক হয়নি; এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে; কিন্তু দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
উপজেলার জাজিকর মুন্সিপাড়া গ্রামে কোদালপুর-ডামুড্যা সড়কে এই সেতুটি নির্মাণ করেছে এলজিইডি। ঠিকাদার ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য চৌধুরী গোলাম রাব্বানী শাকিল।
শাকিল বলেন, “তিন বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এ কথা ঠিক। কিন্তু নদীভাঙনের কারণে একপাশের সংযোগ সড়ক করতে পারিনি।
“তাছাড়া প্রকৌশলীরা আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি। এখন তারা ডিজাইন করে পাঠিয়েছেন। কিছু দিনের মধ্যে কাজ করা হবে।”
সেতুটি নির্মাণের সময় দায়িত্বে ছিলেন গোসাইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী অরবিন্দ রায়।
তিনি বলেন, “আমি দায়িত্বে থাকার সময় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পরে আমি অবসরে চলে আসি। এরপর কী হয়েছে অমি জানি না।”
আর বর্তমান প্রকৌশলী দশরথ কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি নতুন এসেছেন।
“তবে নুতন করে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে।”
শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়াও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণ দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, “নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে পাড় ভেঙ্গেছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদিত ডিজাইন হাতে পাওয়ার পর কাজ শুরু করেছি।”
এদিকে এই সেতুর কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সেতু এলাকার মোস্তফা বেপারী বলেন, “কাজ শুরুর সময় আমরা নদীর দুই পাশে বাঁধ দিতে বলছিলাম। কিন্তু কেউ আমাদের কোনো কথা শোনেনি। পরে নদীর গতিপথ বদলে গিয়ে আমার প্রায় ৭০ শতাংশ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। আমি এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।” আর যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা তো আছেই।
স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমা আক্তার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের মাচা দিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পাড় হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |