Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

জাজিরা-মাওয়া ফেরিঘাট দ্রুত চালুর দাবিতে পদ্মার পাড়ে গণঅনশন

জাজিরা-মাওয়া ফেরিঘাট দ্রুত চালুর দাবিতে পদ্মার পাড়ে গণঅনশন
জাজিরা-মাওয়া ফেরিঘাট দ্রুত চালুর দাবিতে পদ্মার পাড়ে গণঅনশন

শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চালুর দাবিতে মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর ঘাটে গণঅনশন পালন করছে পদ্মা সেতু রক্ষা কমিটি নামের একটি সংগঠন। নির্মিত ফেরি ঘাটের পন্টুনের সামনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার স্থানীয় মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে এই অনশন চলছে। সংগঠনের বক্তারা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে।

অনশনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জাজিরা শিমুলিয়া নৌপথ চালু হলেও কোনও এক অদৃশ্য কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর ঘাট শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করতে হবে। প্রায় এক মাস হলো জাজিরা প্রান্তে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলক এবং ২৭ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক ফেরি চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু ফেরি চলাচল এখনও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

তারা বলেন, লাশ পর্যন্ত এই অঞ্চলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকায় সেগুলো দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অথবা চাঁদপুর-শরীয়তপুর ব্যবহার নৌপথ করতে হচ্ছে। এতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়। ফলে অনেক রোগী পথে মারা যাচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব অজুহাত বন্ধ করে এ রুটে ফেরি চালু করতে হবে।

অনশনকারী সংগঠনের সমন্বয়ক জামাল মাদবর দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগলে আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে। কয়েক মাসের ব্যবধানে এ পর্যন্ত পাঁচবার আঘাত লেগেছে। সেতু ধাক্কার ঘটনা ঘটলেও স্থানান্তরের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর নিচে ফেরি চলাচল বন্ধ ও বিকল্প ফেরিঘাট চালু করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি পাঁচবার ফেরির আঘাত লাগে পদ্মা সেতুতে। সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর ফেরিঘাট স্থাপন করে। কিন্তু নাব্যতা সংকট দেখিয়ে এরপর থেকে আর ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। কবে নাগাদ এই ফেরি চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে বিআইডব্লিটিএ বা বিআইডব্লিউটিসি নিশ্চিত করতে পারেনি।

বিআইডব্লিউটিএ’র বাণিজ্য বিভাগের পরিচালক মো. আশিকুজ্জামান দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, নতুন চ্যানেলে প্রচুর পরিমাণে পলি পরে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে এই পথ দিয়ে এই মুহূর্তে ফেরি চলাচল করা সম্ভব না। জরিপ করে খননকাজ সম্পন্ন করা গেলে ফেরি চালু করা সম্ভব। তবে এখন স্রোত কমে যাওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথেই ফেরি চলাচলের শুরু করার চিন্তাভাবনা চলছে।