
শরীয়তপুরের জাজিরায় আবুল হোসেনের ভাপা পিঠার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। নতুন ধানের গুঁড়া, খেজুরের গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি সুস্বাদু এই পিঠার স্বাদ পেতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন।
আবুল হোসেন জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। শীতকালে তিনি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। শীতের তীব্রতা বাড়লে এই পরিমাণ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
আবুল হোসেনের ভাপা পিঠার বিশেষত্ব হলো এটি তৈরি করা হয় আগাম ধানের গুঁড়া দিয়ে। এই ধানের গুঁড়ায় নতুন ধানের মিষ্টি স্বাদ থাকে যা অন্য পিঠার থেকে আলাদা। এছাড়াও, তিনি তার পিঠায় প্রচুর পরিমাণে খেজুরের গুড় ও নারিকেল ব্যবহার করেন যা এর স্বাদ আরও বাড়ায়।
আবুল হোসেনের ভাপা পিঠার ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয়রা, বাজারের ব্যবসায়ীরা, ভ্রমণকারীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কাজিরহাট ব্রাক অফিস এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম বলেন, “আমি প্রতিদিন এখানে পিঠা খেতে আসি। অন্য সব জায়গার তুলনায় এখানের পিঠার মান ভালো। না খেলে আসলে বুঝবেন না।”
মনাই সৈয়াল কান্দির খবির বেপারি বলেন, “এখানের পিঠা খুবই মজা। আমার স্ত্রী বলেছে পিঠা নিয়ে যেতে। তাই চলে আসছি আবুল ভাইয়ের ভাপা পিঠার দোকানে।”
মোহাম্মদ আলী মিয়া নামের আরেকজন বলেন, “গ্রামে শীত নেমেছে। শীত আসার পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। আমার পছন্দের ভাপা পিঠা। এক সময় মায়ের হাতে বানানো পিঠা খেয়েছি। এখন এখানে খাই।”
আকবর আলী খান বলেন, “প্রতিদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় চোখে পড়ে এ শীতের পিঠা। শীতে পিঠার লোভ কে সামলাতে পারে? তাই প্রতিদিন পিঠা খেতে এখানে আসি।”
কাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সুজন কাজী বলেন, “আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এ দোকান থেকে পিঠা খাই। আগে যদিও বাড়িতে পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো কিন্তু এখন সে উৎসবের আমেজ আর দেখা যায় না। তাই এখানে এসে পিঠা খাই।”
আবুল হোসেন জানান, তার এই ব্যবসায় থেকে তিনি ভালো আয় করেন। এই আয় দিয়ে তিনি তার সংসারের খরচ জোগান দেন এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |