
অসাধারণ এবং সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী, এর দ্বিতীয় কোন উদাহরণ আছে বলে আমাদের জানা নেই। বলছি, চিশতীনগরে গত বিশ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা সুধী সমাবেশের কথা। ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শুরু হয়ে রাত ১১ টায় শেষ হওয়া অসাধারন শৃঙ্খলামন্ডিত, পরিপাটি এবং উন্নত রুচি সম্মত এ সমাবেশ ছিল ২০ তম অনুষ্ঠান। শরীয়তপুর জেলার বিশেষ করে নড়িয়া উপজেলার ধর্ম, বর্ণ, দল, মত, অবস্থান নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের সুধীজন এ অনুষ্ঠানে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হল এবং দলমতের পার্থক্য বিরোধ ইত্যাদি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এক ব্যতিক্রমী সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করেন। চিশতীনগরের বৃহত্তম অনুষ্ঠান ‘বৃহত্তর ভারত উপমহাদেশের অবিসংবাদিত আধ্যাত্মিক সম্রাট’ হযরত খাজা গরীবনাওয়ায মুঈনুদ্দীন চিশতী রাঃ’র বাৎসরিক উরস মোবারকের পূর্বে তার আদর্শ, উপদেশ এবং মর্যাদা ভিত্তিক আলোচনা এবং উরস মোবারকে সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহন করছে এবং অবর্ণনীয় সফলতা অর্জন করে চলছে। ২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সমাবেশে নিয়মিতভাবে সভাপতিত্ব করে আসছেন চিশতীনগরের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পীরজাদা প্রকৌশলী সৈয়দ গোলাম মুরসালিন। এবার বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন চিশতীনগরের পরবর্তি মনোনীত সাজ্জাদানশীন পীরজাদা সৈয়দ গোলাম মোদাসসের মাওলা।
নড়িয়া পৌরসভার মেয়র, পন্ডিতসার টি এম গিয়াসউদ্দীন কলেজের প্রন্সিপ্যাল, ডামুড্যা কলেজের অধ্যাপক, পন্ডিতসার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র শিক্ষকগণ, এ্যাডভোকেট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী সহ অত্র অঞ্চলের সচেতন মহলের এক উল্লেখযোগ্য অংশ চিশতীনগরের প্রশংসামূলক বর্ণনাকে তাদের বক্তব্যে গুরুত্বের সাথে স্থান প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষন ছিল এর উপস্থাপনা। একাধারে শৈল্পিক ও তথ্যমূলক উপস্থাপনা পরিবেশনশৈলীর দিক থেকেও ছিল ব্যতিক্রমী।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী ভাষায় মাস্টার্স করা, সুকন্ঠের অধিকারী এবং সুবক্তা সোহেল সরকার তার উপস্থাপনাগুনে এ অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলছে। চিশতীনগরের তিনতলা মাওলা মঞ্জিল ভবনের সম্পূর্ণটা পূর্ণ হয়েও সামনের প্যান্ডেল পূর্ণ হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এ অনুষ্ঠানের কলেবর বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে আরো বিশাল জায়গার আয়োজন করা অবশ্যম্ভাবী বলে সকলে মনে করেন।