
শরীয়তপুরে কন্যা সন্তানের মা হলেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (পাগলি)। নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ^র বাজার থেকে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রূপা রায় মেডিক্যাল টিম নিয়ে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ^র বাজারে দীর্ঘদিন থাকতেন চায়না আক্তার (২৫) পাগলিটি। গতকাল রাতে ভোজেশ^ও বাজারে একটি ফার্মেসীর সামনে পাগলটির প্রসাব বেদনা উঠলে স্থানীয় কিছু লোক পুলিশকে ফোন দিলে তারা দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স¦াস্থ্য সাব-সেন্টারে নিলে, তারা চিকিৎসা করতে না পারায়। নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ^র বাজার থেকে উপজেলা প্রশাসন রাত ১১.২০ মিনিটে তাকে এ্যামুল্যান্স যোগে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে রাত ১১.৪০ মিনিটে সে একটি সন্তান প্রসাব করে। সেখানে জন্ম নেয় ফুটফুট একটি কন্যা সন্তান। জন্মের পর থেকেই তার বাচ্চাকে রেখে সে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে, তাকে কয়েকবার হাসপাতালের নার্সরা জোর করে তার বেডে নিয়ে আসে। তাকে নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক ও নার্সরা। নার্সদের পাশাপাশি সপ্তম শ্রেনীর রুপা আক্তার নামে এক ছাত্রী রাতভর পাগলীটির বাচ্চাকে দেখাশুনা ও পরিষ্কার করেন। স্থানীয়ারা বলছেন যারা পাগলের সাথে এ অমানবিক কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহকারী সবুজ মিঞা বলেন, ভোজেশ^র বাজারে একটি ফার্মেসীর সামনে পাগলটির প্রসাব বেদনা উঠলে স্থানীয় কিছু লোক পুলিশকে ফোন দিলে তারা দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স¦াস্থ্য সেবার সাব-সেন্টারে নিলে, তারা চিকিৎসা করতে না পারায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় তাকে আমরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ,বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর আমরা আসি।
সপ্তম শ্রেণী ছাত্রী রুপা আক্তার জানান, আমরা তার পাশে আমার বোনকে ভর্তি করেছি, তার সন্তান জন্ম হওয়ার পর নার্স ছাড়া কেউ তার পাশে আসেনি আর তার কেউ না থাকায় আমি তার সন্তানকে পরিষ্কার করেছি আর রাত ভর তার মেয়েকে আমি দেখাশুনা করেছি।
সদর উপজেলা সমাজ সেবা প্রমোশন অফিসার তাপস বিশ^াস জানান,আমরা সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বাচ্চা ও তার মায়ের সব ধরণের দায়িত্ব নিয়েছি।
সদর হাসপাতালের তত্ববাধয়ক ডাঃ মুনির আহম্মেদ খান জানান, গতকাল রাতে নড়িয়া থেকে আমাদের হাসপাতালে একজন ভবঘুরকে নিয়ে আসে, আনার পর তার একটি কন্যা সন্তান জন্য হয়, এখন সুস্থ আছে । আমরা উপজেলা নির্বাহী মহোদয়কে জানিয়েছি তাদের কাছে আমরা তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে তার দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়, কারণ বিভিন্ন সময় সে তার বেড থেকে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করে আর আমাদের এখানে মানসিক রোগী চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। কোন একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেলে কে এর দায়ভার নিবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুর রহমান কেষ জানান, আমরা সমাজ সেবার মাধ্যমে তার বাচ্চা সুরক্ষা এবং তাকে চিকিৎসা সেবার সব ধরনের ব্যবস্থা করতেছি।