মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ ইং, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ ইং

নড়িয়া ১ হাজার ৮’শ১০ মিটার সড়ক নির্মাণে ১০ হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী’র প্রতি এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

নড়িয়া ১ হাজার ৮’শ১০ মিটার সড়ক নির্মাণে ১০ হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী’র প্রতি এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) দুইটি হেরিংবন্ড (ইটের সলিং) রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এতে জপসা ও মোক্তারের চর ইউনিয়নের ১০ হাজারেরও বেশী মানুষের চেহারায় স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। হাঁসি ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধরণ মানুষের মুখেও। রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় শরীয়তপুর-২ আসনের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী এবং সাধ্যানুযায়ী নিয়ম মেনে রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ঠিকাদার। এলজিইডি’র কাজে অনিয়ম করার সুযোগ নাই বলে দাবি করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী।

নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-শরীয়তপুর-রাজবাড়ী উন্নয়ণ প্রকল্পের অধিনে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইনিয়ণের বঙ্গবাজার থেকে জপসা ইউনিয়নের মোল্যা কান্দি ও কবিরাজ কান্দি হয়ে ছিটু মাদবরের কান্দি পর্যন্ত ১ হাজার ৮১০ মিটার ও শহীদ সামাদ স্কুল থেকে দশাই হাওলাদারের কান্দি হয়ে জাকির খার কান্দি পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার ইটের সলিং এর মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। যমুনা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করার জন্য নিযুক্ত হয়। বর্তমানে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সাগর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মেনে কাজ সম্পন্ন করার জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

জপসা ইউনিয়নের মৃধা কান্দি, আসামী কান্দি, চেরাগ আলী, নমকান্দি, কবিরাজ কান্দিসহ পথচারীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে অবহেলিত জপসা ও মোক্তারের চর ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ণ শুরু হয়েছে। এই রাস্তা নির্মাণ হলে তাদের শিক্ষা, সামাজিক, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণ হবে। নড়িয়ার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড় বন্দর ভোজেশ্বর বাজারে যেতে পায়ে হাটা প্রয়োজন হবে না। এই রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে সকল প্রকার সহযোগিতা তারা করবেন।

স্থানীয় শহিদুল মুন্সী, মনির হোসেন, আ: রাজ্জাক বেপারী, আলাল মাদবর, জামাল বাদশা বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা দেখেছি বর্ষাকালে এই এলাকার মানুষ গামছা পড়ে হাট-বাজারে যেত। আমরাও একই ভাবে কষ্ট করেছি। আমাদের সন্তানেরাও সেই কষ্টই করে। এইবার জনবান্ধব নেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আমাদের কষ্ট দূর করার জন্য ইটের রাস্তার ব্যবস্থা করেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে এলাকার সকল উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কৃষিপ্রধান। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতাম না। এই রাস্তা নির্মাণ হলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণ হবে। ১০ হাজারেরও বেশী মানুষ আধুনিক সুবিধাসহ কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আমরা আশাবাদী। এই রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে সার্বিক সহায়তা করব। রাস্তা নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি ও আনন্দিত।

ঠিকাদার আ. জলিল সরদার বলেন, আমাদের মাননীয় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে এই এলাকার রাস্তার উন্নয়ণ কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি ঠিকাদারের ভূমিকায় না থেকে নিজের এলাকার উন্নয়ণের জন্য শতভাগ চেষ্টা করব। আমি কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। আমি নড়িয়া এলজিইডি প্রকৌশলীদের সঠিক তত্ত্বাবধানে কাজ সুন্দর করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছি।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলম বলেন, জপসা ইউনিয়নে মাদারীপুর-শরীয়তপুর-রাজবাড়ী উন্নয়ণ প্রকল্পের অধীনে দুইটি রাস্তায় ইটের সলিং দ্বারা রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজের তদারকি করছি। এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।


error: Content is protected !!