
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২ টার দিকে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাজনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর খলিফার পুকুরে টেঁটা দিয়ে মাছ ধরতে আসে স্থানীয় জয়নাল মোড়লের ছেলে জনি মোড়ল (১৯) ও সোহাগ ব্যাপারী (২০)। তখন আবুবকর ও তার চাচাতো ভাই নুর জামাল ফলিফা মাছ ধরতে নিষেধ করলে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই বিষয়টা মিমাংশা করে দেয় স্থানীয়রা।
পরের দিন ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত ১২ টার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে জয়নাল মোড়ল ও তার ভাতিজা দেলোয়ার মোড়লের নেতৃত্বে জনি মোড়ল, সোহাগ ব্যাপারী, শাহীন মোড়ল, রফিক ব্যাপারী, আল আমীন ফকির, হানিফা ফকির, জুরোল খাঁ, বিল্লাল কাজী, নাছির আকন, সেলিম আকনসহ অন্তত তিন শতাধিক লোক রাজনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর খলিফা ও তার চাচাতো ভাই নুর জামাল খলিফার বাড়িতে তিন রাউন্ড সটগানের গুলি ও প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের বাড়িঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় আবুবকর খলিফার স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর খলিফা বলেন, আমার পুকুরে চুরি করে মাছ ধরছিল জনি মোড়ল ও সোহাগ ব্যাপারী। আমরা বাঁধা দেই। পরের দিন রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ জয়নাল মোড়ল ও তার ভাতিজা দেলোয়ার মোড়লের নেতৃত্বে তিন শতাধিক লোক আমাদের বাড়িতে তিন রাউন্ড সটগানের গুলি ও প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের বাড়িঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। শুধু তাই নয় ঘরে থাকা ৪০ মন রসুন, ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে ওরা। আমরা থানায় মামলা করবো। আমি এ হামলার বিচার চাই।
এ দিকে জয়নাল মোড়ল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাছ ধরতে গেলে আমার ছেলে জনিকে চড় মারে আবুবকর খলিফার লোকেরা। পরের দিনও আমার আরেক ছেলে শাহীনকে মারধর করে। এখন নিজেরা বাড়িঘর ভাংচুর করে আমাদের দোষ দিচ্ছে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরকান্দি গ্রামে শুক্রবার রাতে হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ দেয়নি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |