
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মধ্য কেদারপুর গ্রামে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ টি বাড়ির টিনের বেড়া ও একটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যার পরে একদল কিশোর ও যুবক এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মধ্য কেদারপুর ও দক্ষিন কেদারপুর গ্রামের কতিপয় কিশোরের মধ্যে সিনিয়রিটি ও জুনিয়রিটি নিয়ে কথা কাটাকাটির পর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে কয়েক দফায় তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এরই সুত্র ধরে সোমবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যার পরে দক্ষিণ কেদারপুরের প্রায় শতাধিক কিশোর ও যুবক একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মধ্য কেদারপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা সামনে যার বাড়ি পেয়েছে তার বাড়িতেই ভাংচুর করেছে। হামলায় প্রায় ২০টি বাড়ির টিনের বেড়া কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ সাদর আলী ছৈয়ালের বসতঘর কোপানো হয়। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় এক শিশু। এছাড়া ওই বাড়ির মালামাল ও মহিলাদের গা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন। হামলাকারীরা একাধিক হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় বলে জানান এলাকাবাসী। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
আব্দুল লতিফ খালাসী, ওয়াজউদ্দিন ফকির, সাদর আলী ছৈয়াল সহ একাধিক মহিলা ও পুরুষ বলেন, সন্ধ্যার পরে একদল ছেলেপেলে এলাকায় ঢুকে নির্বিচারে কুপিয়ে ও পিটয়ে বাড়ির টিনের বেড়া ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা সামনে যা পেয়েছে তাই ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তারা বাড়িতে হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মহিলা ও শিশুরা ভয়ে আত্মচিৎকার করতে থাকে। হামলাকারীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |