Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

নড়িয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে জোরপূর্বক গুচ্ছগ্রাম নির্মানের অভিযোগ

নড়িয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে জোরপূর্বক গুচ্ছগ্রাম নির্মানের অভিযোগ

মালিকানা জমির উপর গুচ্ছগ্রাম করছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। ১.৬১ একর জমির মধ্যে .৬১ একর জমি বাদে ১ একর জমি নিয়ে সরকার পক্ষের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি উক্ত ১ একর জমি নিয়ে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপও করা হয়েছে।

কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাচক গ্রামে জোরপূর্বক গুচ্ছগ্রাম করে দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করতে গেলে আরএস ও আরএস পর্চায় মালিকদের কোন অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন। পরে সাংবাদিকদের নিকট শরনাপন্ন হোন আরএস ও আরএস পর্চা অনুযায়ী উক্ত জমির মালিক মৃত আমজেদ গোরাপীর ছেলে নুরুজ্জামান গোরাপী, আ: ছালাম গোরাপী গং; সব্দর আলী গোরাপীর ছেলে কামাল গোরাপী, মোয়াজ্জেম গোরাপী, জামাল গোরাপী, বোরহান গোরাপী, ফজলু গোরাপী ও রুবেল গোরাপী গং।

আমজেদ গোরাপীর ছেলে নুরুজ্জামান গোরাপী, আ: ছালাম গোরাপী এবং সব্দর আলী গোরাপীর ছেলে কামাল গোরাপী, মোয়াজ্জেম গোরাপী বলেন, আমরা নড়িয়া উপজেলার অন্তর্গত ২৮নং ভোজেশ্বর মৌজার এস.এ ৭৯নং খতিয়ানের ১৯৭০নং দাগের .৫৮ একর এবং একই মৌজার একই খতিয়ানের ১৯৭২/২০৫৮ নং দাগের .৪২ একর অর্থাৎ মোট ১ একর জমি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ করে আসছি। কিন্তু বিআরএস খতিয়ানে আমাদের ভূলের কারনে উক্ত জমি খাস খতিয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের নামে হয়ে যায়। এজন্য আমরা আদালতে মামলা করেছি এবং উক্ত জমির উপর আদালত থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপও করা হয়েছে। কিন্তু নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাচক গ্রামে জোরপূর্বক গুচ্ছগ্রাম করে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী র নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছগ্রাম করার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ জমি হারালে আমরা নিজেরাই ভূমিহীন হয়ে যাব। আমাদের ভূমিহীন করলে তখন আমরা কোথায় থাকবো?

 

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, আমজেদ গোরাপীর ছেলেমেয়ে ও সব্দর আলী গোরাপীর ছেলেমেয়েদের জমি সরকার নিয়ে গেলে তারাই ভূমিহীন হয়ে পড়বে। এটার একটি সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিৎ।

এ ব্যাপারে গুচ্ছগ্রাম তৈরীর ঠিকাদার রাসেল বলেন, নড়িয়া প্রকল্প অফিসার ও নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন আমাকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছে। এজন্য আমি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আপনার নড়িয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানান, তারা বন্ধ করতে বললে আমরা কাজ বন্ধ করে দিবো।

নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আহাদী বলেন, নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাঁচক গ্রামে জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার। এজন্য ওখানে গুচ্ছগ্রাম তৈরী হচ্ছে। যারা জমিটা ভোগ করতো, তারা আদালত থেকে একটি ‘স্ট্রে অর্ডার’ করিয়ে এনেছিল। তখন আমরা কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কোর্ট থেকে আমরা স্ট্রে অর্ডার বাতিল করে এনেছি। এখন আবার কাজ শুরু করেছি। যদি তারা আদালত করে মামলায় রায় নিয়ে আসে, আমরা স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে দিবো।