Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুরে বাস্তুহারাদের অধিকার আদায়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমির হোসেন লস্কর

শরীয়তপুরে বাস্তুহারাদের অধিকার আদায়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমির হোসেন লস্কর

বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. আমির হোসেন লস্কর বাস্তুহারাদের অধিকার আদায়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কোন আপদে বিপদে তিনি বাস্তুহারাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
মো. আমির হোসেন লস্কর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ শরীয়তপুর জেলার শাখার সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ২০০৮ সালে তিনি নড়িয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দক্ষতার সাথে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেলা কমিটির শিক্ষা-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর জেলার তৃতীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি চতুর্থ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেখানেও তিনি দক্ষতার সাথে দলকে নেতৃত্ব দেন। পঞ্চম কমিটিতে তাকে জেলা শাখার সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়। এখনও পর্যন্ত তিনি সভাপতি পদে দক্ষতা ও সুনামের সাথে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি বাস্তুহারাদের দাবী আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন।
তিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধরন করে ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। নিজের শ্রমের টাকা দিয়ে তিনি সংগঠন পরিচালনা ও বাস্তুহারাদের দাবী আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মহামারীর সময় তিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে বাস্তুহারাদের মধ্যে করোনাকালীন খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। শীতের সময় শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করেছেন। তিনি তিন হাজার মাস্ক, দুইশ কম্বল, একশ শীতবস্ত্র, নগদ দুই লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। গত কুরবানীর ঈদে একটি গরু কুরবানী দিয়ে তিনি বাস্তুহারাদের মাঝে বিতরণ ও রোজার সময় দুইশ পরিবারের মাঝে তিন কেজি করে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। নিজের টাকায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নড়িয়ায় উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি ও সদরে ইকবাল হোসেন অপু এমপির পক্ষে শোক জানিয়ে প্রধান সড়কে গেইট ও তোরণ নির্মাণ করেন। এছাড়া শরীয়তপুরের চার এমপিকে নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার করেছেন। এসব তিনি দলকে ভালোবেসে একমাত্র নিজের টাকায় করেছেন। এতোকিছু করার পরেও নাকি নেতাদের কাছে সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছে না তৃণমূলের এই ত্যাগী নেতা।
মো. আমির হোসেন লস্কর আক্ষেপ করে বলেন, নিজের বদলা বেঁচা পয়সা দিয়ে এতো কিছু করার পরেও নেতারা আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করেননা। কেউ কোনদিন আমাদের খোঁজ খবর নেননা। মূল দলের কোন প্রোগ্রামে আমাদেরকে দাওয়াত করেননা।
তিনি বলেন, পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সােনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রায় নয় লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাকা ঘর নির্মান করছেন।
বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষে ইতোমধ্যে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে । ভূমিহীন ও গৃহহীন এসকল পরিবারকে ঘরের সঙ্গে দুই শতক জমির মালিকানাও দেওয়া হবে। শরীয়তপুর জেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। কিন্তু এ ঘর কারা পাচ্ছে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। এব্যাপারে কেউ আমাদের কিছুই জানায়নি। আমরা যারা বাস্তুহারা লীগের রাজনীতি করি তাদের অনেকেরই জমি নাই, ঘর নাই। কিন্তু আমাদের কেউ খবর রাখেনা। আমার সংঠনের কেউ সরকারি ঘর ও জমি পায়না। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, সঠিক বাস্তুহারাদের তালিকা করে তাদেরকে জমিসহ ঘর দেয়া হোক। যাতে বাস্তুহারারা মাথা গোঁজার ঠাই পায়। তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। বাস্তুহারারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে। তারা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে। বাস্তুহারারা ভালো থাকুক এটাই আমি চাই। আমার আর কোন চাওয়া নাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।