
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। দেশের ২২টি জেলায় ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ ৫৪টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় যেহেতু স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মগড়া নদীর ভাঙনকবলিত চাড়িয়া গ্রাম ও চরগাতিয়া গ্রাম এবং সড়ক পরিদর্শন শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। হাওড় অঞ্চলেও ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। এ কারণে সেখানকার কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, দেশের হাওরের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করে হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী কাজ করছেন। তাঁর নির্দেশে হাওর অঞ্চল রক্ষায়
স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাওরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ কষ্ট দুর হবে।
আটপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রানা আনজু’র সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম লিটন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান প্রমূখ।
পরে উপমন্ত্রী নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় যোগদান করেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |