Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করলেন উপমন্ত্রী

অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করলেন উপমন্ত্রী

নড়িয়া উপজেলার ৫ হাজার ৫০০ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নড়িয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়ার মানুষকে পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এর আগে ঘুর্ণিঝড় ফণীর কারণে পদ্মা নদীর তীর রক্ষার কাজে কিছুটা বাঁধা সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা নতুন করে আবার কাজ শুরু করেছি। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ যারা ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন এনেছে তাদের কাজ থেকে কোন সুদ নেয়া যাবে না।
যদি কেহ নেয় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও দরিদ্রদের কথা ভাবেন । তাই অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন প্রধামন্ত্রী। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ থাকেন। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজ্বী আব্দুল ওহাব বেপারী, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায়, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজ্বী হাচান আলী রাড়ী, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া থানার ওসি একেএম মনজুরুল হক আকন্দ, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার ।
এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা, জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন। নড়িয়ার চরজুজিরা গ্রামের মৃত ওসমান ফকিরের স্ত্রী সায়েরা খাতুন (৭৫) নতুন কাপড় পেয়ে বলেন, আমার ঘরবাড়ি সবই আছিল, স্বামীও আছিল। ২৫ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ঘর বাড়িগুলোও নদীতে নিয়া গেছে। তাই কেদারপুর গ্রামের গনি লস্করের বাগানে সরকারি ঘরে থাকি। এক ছেলে তাকে বিয়ে দিছি । ওদের দুই মেয়ে, এক ছেলে। ছেলে ভিন্ন থাকে। বাড়িঘর সব হারাইছি। আমার জীবনটা কস্টেই কাটতাছে । গায়ে পড়তে ভালো কাপড় ছিল না। আজকে একটা নতুন কাপড় পাইছি।