গত ১০ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রচন্ড আঘাতে গোসাইরহাটের ধীপুর, চরধীপুর, পট্টি, মিত্রসেনপট্টি, নলমুড়ি, কুচাইপট্টি, গোসাইরহাট, মাছুয়াখালী, জুশিরগাঁও, নাগেরপাড়া এলাকার প্রায় ২ হাজার পান চাষীর দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার মধ্যে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পানের বরজ রয়েছে। গোসাইরহাটে ১৭০ হেক্টর জমির পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। এ উপজেলার পান চাষীদের দুইলাখ পঞ্চান্ন হাজার পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। নিঃস্ব হয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার পানচাষী। এই এলাকার অধিকাংশ কৃষক পানচাষের সাথে জড়িত। পানের বরজ নির্মাণ করতে প্রয়োজন, বাঁশ, নল, পাটখড়ি, গুনা, তার, জাটি, পানের লতা, ঘূর্ণিঝড়ে এসব পন্য লন্ডভন্ড হয়ে গেছে, ফলে পানের বরজ নির্মাণ করতে এসব পণ্য বা মালামাল সবই নতুন করে ক্রয় করতে হবে পানচাষিদের। তারপর পানের বরজ নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। বর্তমানে এসব মালামাল ক্রয় করার মতো অর্থ পানচাষীদের হাতে নেই। ফলে তাদের সংসার পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা পানচাষ শ্রমিক পাচ্ছে না। যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের দৈনিক মজুরী আটশত টাকা। তাও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে পানচাষিদের নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য ৫/৭গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শুধু পান চাষীদেরই সম্পদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এমতাবস্থায় গোসাইরহাটের পানচাষীদের রক্ষা করতে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের সু-ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পর শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদ্যস নাহিম রাজ্জাক তার নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সাহায্য সহযোগীতা প্রদান করার জন্য খোঁজখবর নিচ্ছেন। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার মধ্যে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে সর্বাধিক পানচাষ করা হয়। এ উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ পানচাষীদের জন্য আর্থিক অনুদান বরাদ্দ প্রদান করতে কৃষিমন্ত্রী ও সচিব এর সু-দৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।