Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025
রাজনৈতিক বিরোধের জেড় ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়ায়

স্বেচ্ছাসেকলীগ নেতাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্বেচ্ছাসেকলীগ নেতাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
স্বেচ্ছাসেকলীগ নেতাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

রাজনৈতিক বিরোধের জেড় ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মামুন খান (৩২) কে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন খান (৩২) নড়িয়া পৌরসভার বাড়ৈপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম খানের ছেলে ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

পৌরসভা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছ বেপারীর গ্রুপের সাথে মামুন খানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা চলে আসছিলো। বুধবার সন্ধায় মামুন নড়িয়া বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এসময় হাতুরি ও রড দিয়ে মামুনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শরীয়তপুর জেলার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হামলায় মামুনের সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে মামুনের মৃত্যুর সংবাদে ক্ষীপ্ত হয়ে মামুনের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের নেতা মোখলেছ বেপারীকে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালের সামনে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়েছে।

নিহতের মামা নড়িয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মল্লিক জানান, ‘নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছ বেপারী ও তার ভাগিনাদের সঙ্গে নিহত মামুন খানের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে সন্ধায় মামুন বাড়ি ফেরার পথে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকেরা।’
নিহতের বড় ভাই কুদ্দুস খান বলেন ‘মোখলেছ বেপারীর নির্দেশে সৌরভ বেপারী, মহিদুল বেপারী, আলামিন মোল্লা, খোকন মোল্লা, রকি মোল্লা, রাজিব চৌকিদার, আলাল উদ্দিন চৌকিদার, হারুন মেলকার, রুবেল ফকির সহ আরও ১৫-২০জন আমার ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করে তাকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, ‘এলাকায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় জীবন দিতে হলো আমার মামুনকে। আমার ১০ বছরের ছেলে আর ৯ মাসের মেয়েকে রয়েছে। ওদের নিয়ে এখন আমার কি উপায় হবে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়িয়া থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।