
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনেই রাজধানীর মিরপুরে ঘটে গেল একটি হৃদয়বিদারক ও বিতর্কউদ্রেককারী ঘটনা, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় নির্ধারিত বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে পৌঁছালেও, এক নারী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি—কারণ তিনি নির্ধারিত সময়ের কিছু পর কেন্দ্রে উপস্থিত হন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীর বাবা আগে থেকেই মৃত। পরীক্ষার দিন সকালে তার মা হঠাৎ করে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, মেয়েটি একাই মাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করেন। এরপরই তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হন। তবে পরীক্ষার সময়সীমা অতিক্রম করায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেননি।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে গভীর সহানুভূতি ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নাগরিক সমাজ, শিক্ষক মহল ও সাধারণ মানুষ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্ত বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন—একজন পরীক্ষার্থীর মানসিক ও পারিবারিক সংকটের এমন জটিল মুহূর্তে শিক্ষা ব্যবস্থার উচিত ছিল সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
শিক্ষাবিদদের মতে, নিয়মের শাসন জরুরি হলেও, মানবিক পরিস্থিতিতে একটি ‘ডিসক্রিশনারি পলিসি’ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীতিনির্ধারকদের উচিত এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মানবিক ব্যতিক্রমের সুযোগ তৈরির নীতিমালা প্রণয়ন করা।