
শরীয়তপুর জেলা শহরের ডোমসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বেড়াচিকন্দিন গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁনের ফসলি জমিতে আগাছানাশক বিষ দিয়ে জমির সরিষা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোজাম্মেল খাঁনের (৬৫) বিরুদ্ধে। এতে ২৫ শতাংশ জমির সরিষা ফসল পুরোটাই মরে গেছে। এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁন।
অভিযোগকারী জমির মালিক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁন জানান,গত ২৭ নভেম্বর সোমবার রাতে আমার জমিতে ঘাঁস মারার বিশ দেয় মুজাম্মেল খাঁন। আমি এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই। একটা মানুষ কিভাবে এই বয়সে এমন কাজ করতে পারে। এই বছর আমি অনেক পরিশ্রম করে এই জমিত চাষ দিয়ে সরিষা আবাদ করি। ক্ষেতের পরিচর্যাও বেশি নিয়েছি,যার ফলে সরিষা ফসল খুব ভাল হইছিল। এই ভাল ফসল হয়েছে দেখে মুজাম্মেল খাঁ হিংসায় রাতের আধারে ঘাঁস মারার ঔষধ দিয়ে আমার ক্ষেতের সব ফসল পুরিয়ে দিয়েছে। এতে আমি আর্থিক ভাবে যেমন ক্ষতি হয়েছি,মানষিক ভাবেও খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এটা কেমন শত্রুতা আমার মাথায় আসে না। আমি মুজাম্মেল খাঁর বিচার চাই।
শত্রুতার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,মুজাম্মেল খাঁর সাথে আমার জমি জমা এবং দলবল নিয়ে বিরোধ আছে। সে করে বিএনপি আর আমি করি আওয়ামীলীগ। তবে দুই চার ছয় মাসের মধ্যে তার সাথে আমার কোন ঝগড়া বিবাদ হয় নাই। সে হটাৎ করে কেন এই কাজ করলো আমি জানি না।
এই ফসল নষ্টের বিষয় নিন্দা জানিয়ে ঐ এলাকার মসজিদের ইমাম মোঃ খালেক সরদার, হাবিবুর রহমান খাঁন,চাঁনমিয়া চোকদার,আলীআক্তার খাঁন ও মোতালেব কোটারী বলেন- কতটা নিচু মনের হইলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে আমাদের মাথায় আসে না। মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে ফসল নষ্ট করবে ? আমরা এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছি। যাতে কেউ ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মুজাম্মেল খাঁনের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মেজবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন,আমি অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগের সত্যতা যাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |