Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

ডামুড্যায় অপরিকল্পিত মাছের ঘেরে জলাবদ্ধতা, ২০০ একর জমি অনাবাদি

ডামুড্যায় অপরিকল্পিত মাছের ঘেরে জলাবদ্ধতা, ২০০ একর জমি অনাবাদি
ডামুড্যায় অপরিকল্পিত মাছের ঘেরে জলাবদ্ধতা, ২০০ একর জমি অনাবাদি

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে খাল দখল ও পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাছের ঘের করায় প্রায় ২০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শীত মৌসুমেও পরিপূর্ণ পানি জমে আছে জমিতে। ফলে সঠিকভাবে ফসল আবাদ করতে পারছেন না কৃষক ও জমির মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড়নওগাঁ, চরঠেঙ্গারবাড়ি, শুম্বুকাঠি, জয়ালু ও শিধলকুড়া ইউনিয়নের দিকশুল এলাকায় প্রাকৃতিক পানিপ্রবাহ বন্ধ করে অপরিকল্পিত মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ একর জমিতে আবাদ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ চাষিদের।
স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকরা জানান, পাঁচ বছর আগে এই জমি থেকে ধানসহ বিভিন্ন ফসল ঘরে তুলতেন পাঁচ শতাধিক চাষি। কিন্তু এখন ঘেরের কারণে জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি নামতে না পারায় আবাদ করা যাচ্ছে না কোনো ফসলই।
মাহাবুব মিজি ও নাজির খান নামে দুজন খালে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেছেন। তাই পাঁচ বছর ধরে কৃষকদের জমিতে কোমরসমান পানি আটকে থাকায় ইরি, আউশ, আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঘেরের মালিক মাহাবুব মিজি কথা বলতে রাজি হননি। তবে ঘেরের আরেক মালিক নাজির খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঘেরটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। ঘের নির্মাণের জায়গাটি রতন হাওলাদারের ব্যক্তিমালিকানাধীন ও রেকর্ডীয় সম্পত্তি। এটা কোনো সরকারি সম্পত্তি নয়। এই জায়গা ঢালু হওয়ায় বিলের পানি নিষ্কাশন হতো এটা সত্য। পরে আমরা লিজ নিয়ে সেখানে ঘের কেটে মাছ চাষ করছি। তবে উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধে কৃষকদের কথা মাথায় রেখে আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য ঘেরের বাঁধের নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে দিই। গত মৌসুমে পাইপটি ভেঙে যাওয়ায় এই সমস্যার দেখা দিয়েছে। আমরা কিছুদিন পর পাইপটি ঠিক করে দেব।’
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, ‘দুইটা জায়গায় জলাবদ্ধতা। একটা জায়গায় পাইপ দিয়ে সারাতে হবে এবং আরেকটা হচ্ছে ঘের, তাই পানি সরানো যাচ্ছে না। ঘেরমালিকরা ক্যানেল করে পানি সরিয়ে দেবে, যেন খালে গিয়ে পানি পড়ে। এই কাজ যেন দ্রুত হয়, তা মনিটরিং করছি। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সমস্যার যেন সমাধান হয়, সেই চেষ্টা করছি।’