
বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গত সাত বছরে সর্বোচ্চ ১৪ জন এ বছর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। যা গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খেজুরের কাঁচা রস পান করা এ ভাইরাসের অন্যতম কারণ। এছাড়া বাদুড়ের মুখের লালা, মল, মূত্র তালের রস বা তাড়ি এবং আংশিক খাওয়া ফল খেলেও এ ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, মূলত খেজুরের কাঁচা রস পান করেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে ব্যাপকহারে খেজুরের কাঁচা রস বিক্রি বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যারা বেঁচে যান, তাদের কেউ কেউ স্মৃতি হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন চিরতরে।
ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো সংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুর হার এত বেশি বলে জানা যায়নি। মৃত্যুর আশঙ্কা থাকার পরও নিপাহ ভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। এ জন্য একযোগে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্কুল পর্যায়ে এই ভাইরাসে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
নিপাহ ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
* খেজুরের কাঁচা রস পান করা থেকে বিরত থাকুন।
* খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই।
* আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না। ফলমূল পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে হবে।
* আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
সতর্কতা অবলম্বন করলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।