গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও জামায়াতের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের মানুষের পাশে ছিল। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি, মানুষের জন্য লড়াই করি। কিন্তু বিএনপি শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য লড়াই করে। তারা দেশের মানুষের জন্য কিছু করে না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপির আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। তারা দেশের মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারা দেশের সম্পদ লুটে নিয়ে যায়। কিন্তু আমরা সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছি।”
তিনি বলেন, “বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি। তারা ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি। তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছিল।”
নির্বাচনী জনসভায় আগতদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি বলেন, “এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি। বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। মানবঢাল করে আওয়ামী লীগ আমাকে রক্ষা করেছে।”
২ দিনের সফরে গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সড়ক পথে বরিশাল যান শেখ হাসিনা। বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় যোগদান শেষে সন্ধ্যায় নিজের পিতৃভূমিতে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাচনী এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
শুক্রবার (ডিসেম্বর ৩০) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।