Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

সহজ জয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল

সহজ জয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
সহজ জয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল

সৈকত আলী ক্যাচটা ফেলে দিয়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না যেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সমর্থকদের চোখেও অবিশ্বাসের ছাপ।

এরপর যত সময় গড়াল, ম্যাচ থেকে ততই ছিটকে পড়লো তাদের দল। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর তামিম ও মেয়ার্সের ব্যাটিংয়ের উত্তর খুঁজে না পেয়ে হারতে হয়েছে তাদের।

সোমবার বিপিএলে এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। পরে ৩১ বল হাতে রেখেই জয় পায় বরিশাল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলের মুখোমুখি হবে তারা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বের শেষ দিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ৩ বলে ২ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এদিন একাদশে ফেরানো হয় উইকেটরক্ষক ইমরানুজ্জামানকে।

শুরুর মতো শেষে এসেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি ইমরান। ১৩ বলে ৭ রান করে কাভারে দাঁড়ানো মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ দেন তিনি, এক বল আগেই তামিম ক্যাচ ছেড়েছিলেন তার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে কেবল ৪০ রান তুলে দুই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দলটির ভরসা হয়ে ছিলেন জশ ব্রাউন।

বিগ ব্যাশে মাতিয়ে বাংলাদেশে আসা এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কোয়ালিফায়ারেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। চট্টগ্রামের আরেক ভরসা টম ব্রুসও ১১ বলে ১৭ রান করে মেয়ার্সের বলে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।

এরপর দলটির হয়ে কিছুক্ষণ লড়াই করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ১৬ বলে ২৪ রান করে মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৬ বলে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি রোমারিও শেফার্ড। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মেয়ার্স, দুই উইকেট পাওয়া সাইফউদ্দিনও সমান ওভারে সমান রান দেন।

রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় বলে উইকেট হারিয়ে ফেলে ফরচুন বরিশালও। শুভাগত হোমের বলে রিভার্স সুইপ করতে যান সৌম্য, কিন্তু তার গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। বরিশালকে ভালোভাবেই চেপে ধরার সুযোগ ছিল বরিশালের সামনে।

কিন্তু আল আমিন হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তামিমের ক্যাচ ফেলে দেন সৈকত আলী। ম্যাচ থেকেও এরপর ধীরে ধীরে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ৫৪ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মেয়ার্স। শুভগতর করা পঞ্চম ওভারে ২৬ রান নেন মেয়ার্স। এই ব্যাটার ২৬ বলে ৫০ রান করে বিলাল খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়ে গেছে অনেকটাই। আরেক প্রান্ত আগলে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা তামিম ৪৩ বলে ৯ চারে ৫২ রান করেন।