
বুধবার দুবাইয়ে মারা যাওয়া সিকদার গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদারের মরদেহ শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় পৌঁছেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, একটি চার্টার্ড বিমান, জয়নুল হক সিকদারের লাশ ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন। বেলা সাড়ে পাচটার দিকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক, জয়নুল হক সিকদার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ অবধি শ্বাস নিয়েছিলেন যেখানে তার চিকিৎসা চলছিল পড়ে তিনি মারা জান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মরদেহ বিমানবন্দর থেকে তার ধানমন্ডির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নামাজে জানাজা (জানাজা) রায়ের বাজারের জেডএইচ সিকদার মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। আজ (শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি) মরদেহ শরীয়তপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নামাজের জানাজার পরে তার মা জরিনা সিকদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা, জয়নুল হক সিকদার ১৯৩০ সালের ১২ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৪০ সালে দেশ বিভাগের সময় সপরিবারে বর্তমান বাংলাদেশে পাড়ি জমান।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি ছিলেন। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়িক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং গত সাত দশকে প্রায় ২০ হাজার লোককে নিয়োগ করেছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও জয়নুল হক সিকদার অসংখ্য উদ্যোক্তা গড়ে তোলেন। তিনি ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠার প্রথম দিনগুলিতে দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তাকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ছিলেন। তিনি একজন সমাজসেবী হিসাবেও সুপরিচিত। স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি দরিদ্রতা হ্রাস এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে সমর্থন দিয়েছিলেন। জয়নুল হক সিকদার ১৯৪৫ সাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকটতম ও বিশ্বস্ত সহযোগী হিসাবে ছিলেন।