Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

চলতি মাসেই নাবিকদের উদ্ধারের আশা নৌ প্রতিমন্ত্রীর

চলতি মাসেই নাবিকদের উদ্ধারের আশা নৌ প্রতিমন্ত্রীর
চলতি মাসেই নাবিকদের উদ্ধারের আশা নৌ প্রতিমন্ত্রীর

সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে বন্দি ২৩ নাবিককে চলতি মাসেই সুস্থভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে আমাদের প্রধান দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এটা কোনো ছোটো ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। তবে আমরা বলতে পারি, সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করছি আমরা নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।

ঈদের আগে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজ-খবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে। ওই জাহাজে কর্মরত ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছেন।

সমুদ্রগামী এ জাহাজটি কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। পথে গালফ অব ইডেনে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র আছে।

জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌ অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছে। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। তবে, বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষ আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কখনও দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে গেলো, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম।