সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং

জাজিরায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত অনেকে

জাজিরায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত অনেকে

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা রাজনগর ইউনিয়ন বাবর আলী মাদবরের কান্দি বিল দেওনিয়া গ্রামের মৃত ছাবু খার পুত্র ইসমাইল খা (৫০)।

বুধবার ০৩ জুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাজিরা উপজেলা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড চর রাড়িপাড়া গ্রামে ভুইয়া বাড়ির ব্রিজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ০২ জুন সাবেক কাউন্সিলর করিম মাদবর ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান বেপারীর লোকজনের সাথে মারামারি হয়। তারই সুত্র ধরে বুধবার ভোরে উভয় পক্ষের পুনরায় সংঘর্ষ বাধলে ঘটনা স্থলেই বোমের কনার আঘাতে ইসমাইল খা নামে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।

নিহতের স্বজনরা বলেন, আমরা জাজিরা থেকে আসার পথে নুরুল আমিন খার নেতৃত্বে লোকজন মারধর করলে ইসমাইল খা নিহত হয়।

কাউন্সিলর আ: করিম মাদবর বলেন, ২০১০ সালের লিটন হত্যাকারীর সাক্ষী আমিসহ আমাদের এলাকার আবু আলেম মাদবর, আমিন মাদবর ও তাছলিমা বেগম। আমরা যেন কোর্টে সাক্ষী না দেই, সেজন্য আমাদের জোরজবরদস্তি করছে মতি বেপারীসহ লিটন হত্যার আসামীর লোকজন। সাক্ষীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে বোমের কণা ও আওয়াজ ইসমাইলের শরীরে আঘাত করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় জাজিরা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। তিনি এ সংঘর্ষের বিষয়ে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রাড়ী কান্দির মৃত আমিনুদ্দিন মাদবরের ছেলে চান মিয়া মাদবর (৪৮), মৃত আলী মাতুব্বরের ছেলে আওলাদ মাদবর (৪৩), মৃত আমজাদ মাদবরের ছেলে সেকান্দার মধ্যে (৪৫), মৃত আমিনুদ্দিন মাদবরের ছেলে মুজিবুর রহমান(৫৫), নূর মোহাম্মদ মাদবরের ছেলে মকবুল মাদবর(৩৮), কাদের খানের ছেলে আব্দুস সাত্তার খান(৫৪), রুস্তম খানের ছেলে আশরাফ আলী খান (৫৫), মৃত-মোঃ বেপারীর ছেলে আব্দুস সালাম বেপারী (৫৫), মৃত গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া ছেলে জাহাঙ্গীর ভূইঁয়া, মৃত নূর মোহাম্মদ মাদবরের ছেলে, মৃত সামেদ আলী মাতুব্বরের ছেলে হামেদ মাদবর, মৃত আমিনুদ্দিন নাগপুরি ছেলে মজিবর মাদবর সাহেব, মৃত হযরত আলী মাদবরের ছেলে আব্বাস মাদবরসহ অনেকে জড়িত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কাউন্সিলর মতিউর রহমান বেপারীর সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে জানান, করিম মাদবররা তাদের গ্রামের ঘরবাড়ির অনেক ক্ষতি সাধন করে এবং তাদের লোকজনকে বোম মেরে আহত করে।

জাজিরা থানা অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম বলেন পুর্বের ও বর্তমান কাউন্সিলর-এর লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এতে অনেক ঘড়বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে যাই। আমি আসার কিছুক্ষণ পরে একজন লোককে মেরে ফেলার সংবাদ পাই। লাশ সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আশা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা আঘাতে মৃত্যু হয়েছে না হার্টএটাকে। উভয় পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


error: Content is protected !!