
প্রতিবছরের ন্যায় এবছর বোরো ধান সংগ্রহ মৌসুমে জেলা থেকে ২ হাজার ৪৯১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে। শরীয়তপুর জেলা শহরের আংগারিয়া খাদ্য গুদাম থেকে ৬২৪, ডামুড্যা থেকে ৪০৮, গোসাইরহাট থেকে ৩৫১, নড়িয়া থেকে ৫৫৯, ভেদরগঞ্জ থেকে ৪৬৫ ও জাজিরা থেকে ৮৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে। কৃষক ধানের সঠিক আদ্রতা, বিজাতীয় পদার্থ-ভিন্ন জাতের ধানের মিশ্রণ, অপুষ্টি-বিনষ্ট দান ও চিটা মুক্ত উজ্জ্বল সোনালী ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবে। তবে কৃষকদের কৃষি কার্ড ও দিয়ে প্রথম তালিকাভূক্ত হতে হবে।
৪ জুন আংগারিয়া খাদ্য গুদামে কৃষকদের উৎপাদিত ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস,এম. তাহসিনুল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আমির হামজা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা খাতুন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল ইসলাম, আংগারিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯-২০ মৌসুমে প্রকৃত কৃষকদের উৎপাদিত ধান আংগারিয়া সরকারি খাদ্য গুদামে সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ধান সংগ্রহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আংগারিয়া ইউনিয়নের কালু শিকদার, রুহুল আমিন খান ও চিকন্দী থেকে আনছার আলী মুন্সী ৫ মন করে ধান নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। তাদের ধান পরীক্ষা নীরিক্ষা করে খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করা হবে। তাদের সাথে আলাপ কালে জানায়, তারা প্রত্যেকে ৩০০ থেকে ৫০০ মন ধান উৎপাদন করেছেন। তারা প্রত্যেকে ১৫ থেকে ২০ মেট্রিকটন ধান দিতে পারবেন। অথচ খাদ্য বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী তারা ২ মেট্রিকটনের বেশী ধান দিতে পারছে না। এই কৃষকদের দাবী সরকার যেন কৃষকদের কাছ থেকে আরও বেশী করে ধান সংগ্রহ করে। তাহলে কৃষক বাঁচবে।
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের চাইতে এই করোনা ভাইরাস সংকটময় সময় কৃষক ফসল উৎপাদন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রত্যেক কৃষককে আমাদের স্যালুট করা উচিত।
তিনি জেলা খাদ্য বিভাগের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ধান সংগ্রহে অনিয়মের বিষয়ে কোন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। খাদ্য মন্ত্রনালয় দূর্নীতিমুক্ত খাদ্য বিভাগ চায়। আমিও চাই খাদ্য বিভাগ দূর্নীতিমুক্ত হোক। কৃষির সাথে সম্পৃক্ত অধিদপ্তর যেমন, মৎস্য, প্রানী সম্পদ ও খাদ্য বিভাগকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানান তিনি।
ডিসি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষক কৃষি কাজ করে খাদ্য উৎপাদন করে বলে আমরা তা ভোগ করি। আমাদের পকেট ভড়া টাকা আছে কিন্তু বাজারে খাদ্যদ্রব্য নাই। আমরাতো আর টাকা চিবিয়ে খেতে পারব না। করোনা মহামারিতে সারা বিশ্ব যখন দূর্ভীক্ষ নিয়ে চিন্তা করছে ঠিক সেই মূহুর্তে বাংলাদেশের কৃষকরা ধান উৎপাদন করে ১৭ কোটি মানুষের এই দেশকে সচল রেখেছে। তাই কৃষকরাই স্যালুট পাওয়ার যোগ্য।