
শরীয়তপুরের ড্রেজার দিয়ে ব্যবসায়ী আলমগীর ছৈয়ালের বালু ভরাট করায় সেই বালু বাতাসে উড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কোটাপাড়া বড় ব্রিজ সংলগ্ন গ্রামবাসী।
শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কোটাপাড়া বড় ব্রিজ সংলগ্ন গ্রামবাসী অভিযোগ করেন যে, পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের কুরাশি গ্রামের মৃত আমির হোসেন ছৈয়াল-এর ছেলে আলামগীর ছৈয়াল দীর্ঘদিন যাবত কোটাপাড়া ব্রিজের পূর্বপার্শ্বের ঢালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ভরাট করে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছে। যে স্থানে আলমগীর ছৈয়াল বালু ভরাট করে রেখেছে, এর আশপাশ দিয়ে আনুমানিক ৫০/৬০ পরিবার বসবাস করার কারণে প্রচন্ড ঝড়ে ও বাতাসে প্রতিটি বাড়িতে বালু উড়ে যাওয়ার ফলে ঐ বাড়িগুলোতে বসবাস করা অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে।
এছাড়াও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ভরাট করার সময় একাধিকবার বালুরঘাট ভেঙ্গে গিয়ে ড্রেজার পানি কিছু বাড়ির চলাচলের রাস্তা ডুবে গিয়ে অনেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমনকি মুক্তপানি ফলের গাছের বাগানের মধ্যে প্রবেশ করার ফলে অনেক ফলের গাছ মরে গিয়েছে। পানি রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে যাওয়ায় এলজিইডি’র রাস্তা বর্তমানে ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তাটি পানিগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। উক্ত বিষয়ে আলমগীর ছৈয়ালকে বারবার বললেও সে বিষয়টি কর্ণপাত না করে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আলমগীর ছৈয়ালের কারণে উক্ত গ্রামবাসী বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানান গ্রামের ভূক্তভোগীরা।
গ্রামবাসির পক্ষে মো: জলিল ফকির ও রেজানুর রহমান খান আরও জানান, আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেছি। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো।
এব্যাপারে আলমগীর ছৈয়াল বলেন, আমার ড্রেজারের কারনে জায়গা ভাঙ্গে না। বছর ৩ ধরে নদীর পার ভাঙছে। বলু যাতে না উড়ে সে জন্য পলিথিন দিয়ে ভরাট কাজ করছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী মো: মাহাবুর রহমান শেখ মুঠোফোনে বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ আমার হাতে এসেছে। গোপনীয় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আমরা প্রোপার এ্যাকশন নিব।